১২:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গার হানুরবারাদি স্কুলছাত্রকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষক সাজুর বিরুদ্ধে

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হানুরবারাদিতে বাপ্পি (১১) নামের এক স্কুলছাত্রকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে প্রাইভেট শিক্ষক সাজুর বিরুদ্ধে। আহত অবস্থায় স্কুলছাত্রকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শিক্ষক সাজুর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে। এতে স্কুল ছাত্র বাপ্পির চোখের নিচে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

আহত বাপ্পি সদর উপজেলার মাখালডাঙ্গা ইউনিয়নের হানুরবারাদি গ্রামের মাঠপাড়ার মুকুল হোসেনের ছেলে। এবং হানুরবারাদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র।

ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রের পরিবার অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিচার দাবি জানিয়েছেন।

স্কুলছাত্র বাপ্পি বলেন, দুপুরে স্যারের বাড়িতে পড়তে যায়। এ সময় কোন কিছু না বলেই আমার পিঠে কিল-ঘুষি মারেন স্যার। ঘাড় চেপে ধরে ধাক্কা দিলে খাটের সঙ্গে আমার নাক ও ডান চোখের নিচে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। আমাকে বলে তোকে আর এখানে পড়তে হবে না৷ এরপরই আমি বাড়িতে চলে এসে বিস্তারিত জানায়।

শিক্ষার্থী বাপ্পির দাদা আবদার আলী রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, দুপুরে বাইসাইকেলযোগে কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে আসে নাতি বাপ্পি। এ সময় তার নাক দিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। তার পরনের জামা রক্তে লাল হয়ে গেছে। এরপরই জামা পরিবর্তন করে দ্রুত সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি। এমন করে একজন পিতাও মারধর করেন না৷ আমরা এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

অভিযুক্ত শিক্ষক সাজু রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, দুষ্টুমি ও পড়া না পারার কারণে সামান্য মেরেছি। গলা ধরে ছেড়ে দিলে সে পড়ে গিয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে।

সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মেহবুবা মুস্তারি মৌ রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, শিশুটির চোখের নিচে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। পরিক্ষা-নিরিক্ষার বিস্তারিত বলা যাবে। এছাড়া নাকে আঘাতের কারণে রক্তক্ষরণ হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তবে শিশুটি শঙ্কামুক্ত।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) খালেদুর রহমান রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

জনপ্রিয়

ভারতের স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্য প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

চুয়াডাঙ্গার হানুরবারাদি স্কুলছাত্রকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষক সাজুর বিরুদ্ধে

প্রকাশের সময় : ১১:৪১:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হানুরবারাদিতে বাপ্পি (১১) নামের এক স্কুলছাত্রকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে প্রাইভেট শিক্ষক সাজুর বিরুদ্ধে। আহত অবস্থায় স্কুলছাত্রকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শিক্ষক সাজুর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে। এতে স্কুল ছাত্র বাপ্পির চোখের নিচে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

আহত বাপ্পি সদর উপজেলার মাখালডাঙ্গা ইউনিয়নের হানুরবারাদি গ্রামের মাঠপাড়ার মুকুল হোসেনের ছেলে। এবং হানুরবারাদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র।

ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রের পরিবার অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিচার দাবি জানিয়েছেন।

স্কুলছাত্র বাপ্পি বলেন, দুপুরে স্যারের বাড়িতে পড়তে যায়। এ সময় কোন কিছু না বলেই আমার পিঠে কিল-ঘুষি মারেন স্যার। ঘাড় চেপে ধরে ধাক্কা দিলে খাটের সঙ্গে আমার নাক ও ডান চোখের নিচে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। আমাকে বলে তোকে আর এখানে পড়তে হবে না৷ এরপরই আমি বাড়িতে চলে এসে বিস্তারিত জানায়।

শিক্ষার্থী বাপ্পির দাদা আবদার আলী রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, দুপুরে বাইসাইকেলযোগে কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে আসে নাতি বাপ্পি। এ সময় তার নাক দিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। তার পরনের জামা রক্তে লাল হয়ে গেছে। এরপরই জামা পরিবর্তন করে দ্রুত সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি। এমন করে একজন পিতাও মারধর করেন না৷ আমরা এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

অভিযুক্ত শিক্ষক সাজু রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, দুষ্টুমি ও পড়া না পারার কারণে সামান্য মেরেছি। গলা ধরে ছেড়ে দিলে সে পড়ে গিয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে।

সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মেহবুবা মুস্তারি মৌ রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, শিশুটির চোখের নিচে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। পরিক্ষা-নিরিক্ষার বিস্তারিত বলা যাবে। এছাড়া নাকে আঘাতের কারণে রক্তক্ষরণ হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তবে শিশুটি শঙ্কামুক্ত।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) খালেদুর রহমান রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।