এস এম সাইফুল ইসলাম
আন্তর্জাতিক আল কুদস সপ্তাহ উপলক্ষে প্রতিবছরই দেশজুড়ে ব্যতিক্রমী সেমিনারের আয়োজন করে ইন্তিফাদা ফাউন্ডেশন। সেই ধারাবাহিকতায় এবছরও আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক ৫ম কুদস সপ্তাহ উপলক্ষে ধারাবাহিক সেমিনার শুরু করেছে ফাউন্ডেশনটি। ২০২৫ এর প্রথম আয়োজন ‘মানবতা বিরোধী অপরাধের থাবায় ফিলিস্তিন ; আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১১টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ সাজিদ ভবনে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ফিলিস্তিন ওলামা পরিষদের বাংলাদেশী কো-অর্ডিনেটর ও ইন্তিফাদা ফাউন্ডেশনের সভাপতি মাওলানা মুহাইমিনুল হাসান রিয়াদ।

তিনি বলেন, ‘গাজ্জায় অসম যুদ্ধে ইজরাঈল মানবাধিকার লঙ্ঘন ও যুদ্ধাপরাধের ন্যক্কার জনক ইতিহাস সৃষ্টি করেছে, এখনই সময় মধ্যপ্রাচ্যের ইজরায়েলী বাহিনী নামক ক্যান্সার সমূলে উৎপাট করতে বিশ্ববাসী কর্যত পদক্ষেপ গ্রহণ করা’
মুহাইমিনুল হাসান রিয়াদ বলেন, ‘(৭ ই অক্টোবর)-এর অপারেশনে ইজরায়েলের বিপক্ষে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনি যুদ্ধাদের ঐতিহাসিক বিজয় হয়েছে। এর মাধ্যমে ইজরায়েলী সন্ত্রাসীরা লজ্জাজনক ভাবে পরাজিত হয়েছে’।
বাংলাদেশের পাসপোর্টে ‘এক্সেপ্ট ইজরায়েল’ পুনর্বহাল করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, জায়নবাদী আগ্রাসন শুধু ফিলিস্তিনে সীমাবদ্ধ নয় বরং সমগ্র মুসলিম বিশ্বেই ত্রাস সৃষ্টির ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে তাদের আগ্রাসন দৃশ্যমান- পাসপোর্ট থেকে এক্সেপ্ট ইজরায়েল শব্দদ্বয় বাতিল করা, ইজরায়েলী পেগাসাস যন্ত্র ক্রয় করা তাদের আগ্রাসণের বহিঃপ্রকাশ। পতিত স্বৈরাচারী শাসকের হাত ধরে বাংলাদেশে তাদের এই ষড়যন্ত্র মূলক আগ্রাসন প্রতিরোধ করা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জরুরী দায়িত্ব, আজও পাসপোর্টে শব্দ দু’টি পুনর্বহাল না করা জুলাই অভ্যুত্থানের স্পিরিটের বিরোধী।
পাসপোর্টে এক্সেপ্ট ইজরায়েল শব্দদ্বয় পুনর্বহালের দাবী করে জনগনকে সকল প্রকার ইজরায়েলী আগ্রাসের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহবান জানান তিনি।
এছাড়াও বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তকে ফিলিস্তিনকে পরিচয় করানো এবং মসজিদে আকসাকে মুসলমানদের ধর্মীয় অধিকার হিসেবে পরিচিতি অন্তর্ভুক্তির দাবী করেছেন মুহাইমিনুল হাসান রিয়াদ।
আয়োজিত ‘মানবতা বিরোধী অপরাধের থাবায় ফিলিস্তিন ; আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ রইছ উদ্দীন, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ নুরুল্লাহ ও ড. আবু তাইয়্যেব মুহাম্মদ নাজমুস সাকিব প্রমুখ।