০৩:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভূমিকম্প অনুভূত

চুয়াডাঙ্গাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভুমিকম্প অনুভূত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১টা ২৬ মিনিটের দিকে তীব্র ঝাঁকুনিতে কেঁপে ওঠে সবকিছু। এ সময়টায় অনেকে বিছানায় থাকায় শক্তিশালী কম্পন অনুভব করেন। যদিও এটি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি।

ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরি বিষয়ক ওয়েবসাইট ভলকানো ডিসকভারি জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমার। এটি মাটির ১১২ কিলোমিটার গভীরে সংঘটিত হয়। ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ১।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভারতের মণিপুর রাজ্যের ওয়াংজিং থেকে ১০৬ কিলোমিটার পূর্বে ভূমিকম্পটি সংঘটিত হয়। এটির প্রভাবে মিয়ানমার, ভারতের কয়েকটি রাজ্য ও বাংলাদেশে শক্তিশালী কম্পন হয়।

ভলকানো ডিসকভারি আরও জানিয়েছে, বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ প্রথমে ২ থেকে ৩ সেকেন্ড কাঁপুনি অনুভব করেন। এরপর এটি থেমে যায়। এর অল্প সময়ের মধ্যেই আবার ২ থেকে ৩ সেকেন্ডের মতো ফের সবকিছু কাঁপতে থাকে। তবে দ্বিতীয়বার ঝাকুনির তীব্রতা কম ছিল।

ওয়েবসাইটটি আরও জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির মূল উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমারের সাগাইংয়ের কামটি নামক অঞ্চলে। তবে উৎপত্তিস্থলের কাছের মানুষ এটির তীব্রতা খুব বেশি অনুভব করেননি। কিন্তু এটির কম্পন ৩৫০ থেকে ৭০০ কিলোমিটার দূরের মানুষও টের পেয়েছেন। এমনকি একজন ২ হাজার ৩৭১ মাইল দূরে থেকেও ভূমিকম্পটি অনুভূত হওয়ার তথ্য জানিয়েছেন।

সাদিয়া তাসনিম নামের একজন ফেসবুকে লিখেছেন “মাত্রা কত ছিলো! ধাক্কায়ে বিছানা থেকে ফেলে দিচ্ছিলো একদম! #ভূমিকম্প।”

চুয়াডাঙ্গার একজন সংবাদকর্মী বলেন, রাতে বিছানায় শুয়ে ছিলাম। হঠাৎ খাট ঝাকুনি দিয়ে উঠল। প্রথমে ভয় পেলেও পরে গণমাধ্যমে ভুমিকম্পের সংবাদ দেখে নিশ্চিত হয়েছি।

এএইচ

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

জনপ্রিয়

ফের বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন সিদ্দিকের প্রাক্তন স্ত্রী

চুয়াডাঙ্গাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভূমিকম্প অনুভূত

প্রকাশের সময় : ০২:০৫:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫

চুয়াডাঙ্গাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভুমিকম্প অনুভূত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১টা ২৬ মিনিটের দিকে তীব্র ঝাঁকুনিতে কেঁপে ওঠে সবকিছু। এ সময়টায় অনেকে বিছানায় থাকায় শক্তিশালী কম্পন অনুভব করেন। যদিও এটি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি।

ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরি বিষয়ক ওয়েবসাইট ভলকানো ডিসকভারি জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমার। এটি মাটির ১১২ কিলোমিটার গভীরে সংঘটিত হয়। ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ১।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভারতের মণিপুর রাজ্যের ওয়াংজিং থেকে ১০৬ কিলোমিটার পূর্বে ভূমিকম্পটি সংঘটিত হয়। এটির প্রভাবে মিয়ানমার, ভারতের কয়েকটি রাজ্য ও বাংলাদেশে শক্তিশালী কম্পন হয়।

ভলকানো ডিসকভারি আরও জানিয়েছে, বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ প্রথমে ২ থেকে ৩ সেকেন্ড কাঁপুনি অনুভব করেন। এরপর এটি থেমে যায়। এর অল্প সময়ের মধ্যেই আবার ২ থেকে ৩ সেকেন্ডের মতো ফের সবকিছু কাঁপতে থাকে। তবে দ্বিতীয়বার ঝাকুনির তীব্রতা কম ছিল।

ওয়েবসাইটটি আরও জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির মূল উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমারের সাগাইংয়ের কামটি নামক অঞ্চলে। তবে উৎপত্তিস্থলের কাছের মানুষ এটির তীব্রতা খুব বেশি অনুভব করেননি। কিন্তু এটির কম্পন ৩৫০ থেকে ৭০০ কিলোমিটার দূরের মানুষও টের পেয়েছেন। এমনকি একজন ২ হাজার ৩৭১ মাইল দূরে থেকেও ভূমিকম্পটি অনুভূত হওয়ার তথ্য জানিয়েছেন।

সাদিয়া তাসনিম নামের একজন ফেসবুকে লিখেছেন “মাত্রা কত ছিলো! ধাক্কায়ে বিছানা থেকে ফেলে দিচ্ছিলো একদম! #ভূমিকম্প।”

চুয়াডাঙ্গার একজন সংবাদকর্মী বলেন, রাতে বিছানায় শুয়ে ছিলাম। হঠাৎ খাট ঝাকুনি দিয়ে উঠল। প্রথমে ভয় পেলেও পরে গণমাধ্যমে ভুমিকম্পের সংবাদ দেখে নিশ্চিত হয়েছি।

এএইচ