কেরু এণ্ড কোম্পানি লিমিটেডের যশোর ওয়ার হাউজের ইনচার্জ দাউদ আলির বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে ভিত্তিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের সচিব আনোয়ার কবির স্বাক্ষরিত পত্রে অভিযোগ তদন্তের জন্য কেরু এণ্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে নির্দেশ দেন। এরপরই চার সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটিতে যারা আছেন, হলেন, কেরুজ চিনিকলের ব্যবস্থাপক (হিসাব) গোলাম জাকারিয়া, উপ-ব্যবস্থাপক (পার্সনাল) আল আমিন, সহকারি ব্যবস্থাপক (বানিজিক) ডিস্টিলারী জহির উদ্দীন ও সহকারি ব্যবস্থাপক (যন্ত্রকৌশল) নাজমুল হাসান। আগামি ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ মাধ্যমে জানা গেছে, বিগত ‘আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কেরু চিনিকলের কর্মচারি দাউদ আলী বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অর্থ সম্পদের মালিক বনে যান। এ নিয়ে স্থানীয়সহ গণমাধ্যমে একাধিক পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। তার বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হলে দাউদ আলী ফলে তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠেন।
এর আগে, কেরুজ যশোর বন্ডেড ওয়ারহাউজের ইনচার্জ দাউদ আলীকে মিথ্যা ও মানহানিকর অপপ্রচারের অভিযোগ এনে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছে সাংবাদিক হারুন রাজু। হারুন রাজুর নিয়োজিত চুয়াডাঙ্গা জজকোর্টের অ্যাডভোকেট মো. আফতাব উদ্দীন মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) এ নোটিশ প্রেরণ করেন।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, দাউদ আলীকে নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোর পর তিনি দৈনিক মাথাভাঙ্গার দর্শনা ব্যুরো প্রধান হারুন রাজুর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মিথ্যা অভিযোগ আনেন। এ অভিযোগ দর্শনা প্রেসক্লাবে লিখিত আকারে জমা দেন।
এ প্রসঙ্গে লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়েছে, মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও মানহানিকর অপপ্রচারের জন্য দাউদ আলীর বিরুদ্ধে কেন মামলা করা হবে না, তা লিখিতভাবে জানাতে হবে। নোটিশ পাওয়ার ১০ দিনের মধ্যে জবাব না পেলে তার বিরুদ্ধে দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালতে মামলা করা হবে।
এ বিষয়ে কেরু এন্ড কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান বলেন, একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সত্যতা পেলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এএইচ