গত তিনদিন যাবত ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে দেশের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গা। সাথে হিমেল বাতাসে বিপর্যস্ত জেলার মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। ছিন্নমূল ও অসহায় মানুষরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। তীব্র শীত উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে বের হওয়া খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছেন বিপাকে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ৬ টায় চুয়াডাঙ্গায় ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ।
এদিকে, আগামী ২৬ জানুয়ারি থেকে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান।
তিনি রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, আগামী ২৬ জানুয়ারি থেকে ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা আসার সম্ভাবনা রয়েছে। ৩-৪ দিন জেলার উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
এদিকে, তীব্র শীতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রোটাভাইরাস জনির কারণে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়াসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগে হাসপাতালের আউটডোরে ২০০-৩০০ বয়োবৃদ্ধরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়া প্রতিদিন ৩০০-৪০০ শিশু রোগী আউটডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. রকিব সাদী।
বেসরকারি স্কুলের একজন শিক্ষক রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, শীতে বাচ্চারা স্কুলে দেরিতে আসছে। অভিভাবকরা বলছেন, ঠান্ডায় ঘুম থেকে উঠতে চাইছেনা বাচ্চারা। এতে দেরি হচ্ছে। আমরাও শিক্ষার্থীদের উপর চাপ দিচ্ছি না।
মিরাজুল ইসলাম নামের ভ্রাম্যমাণ খেজুর রস বিক্রেতা রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, প্রতিদিন সকালে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে রস বিক্রি করি। গত কয়েকদিন সকাল থেকেই রাস্তাঘাটে লোকজনের আনাগোনা থাকে। আজ সকালে খুবই কম লোকের দেখা মিলেছে। কয়েকদিনের ব্যবধানে আজ প্রচুর ঠান্ডা পড়ছে।
এএইচ