কনকনে ঠান্ডায় কাঁপছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গা। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। এলাকার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে ও চায়ের দোকানে শীত নিবারনের চেষ্টায় খড়কুটো জ্বালিয়ে উত্তাপ নিতে দেখা গেছে নিম্ন আয়ের মানুষদের। এরই মধ্যে আজ থেকে দ্বিতীয় দফায় জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈতপ্রবাহ।
আজ বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ৯ টায় চুয়াডাঙ্গায় ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এবং বাতাসের আদ্রতা ৯৫ শতাংশ।
এর আগে, শনিবার (১৪ ডিসেম্বর)ন চুয়াডাঙ্গায় ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এবং বাতাসের আদ্রতা ৮৭ শতাংশ। যা চলতি মৌসুমে জেলায় এবং সারা দেশের মধ্যে ছিল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
চুয়াডাঙ্গা শহরের প্রাণকেন্দ্র বড়বাজার চৌরাস্তার মোড়ে কাজের সন্ধানে আসা মানিক নামের এক শ্রমিক বলেন, গতকাল সন্ধার পর থেকে খুব ঠান্ডা পড়ছে। ভোরে কাজের সন্ধানে বের হয়েছি। প্রচন্ড ঠান্ডায় কাঁপুনি ধরে যাচ্ছে। হিমেল বাতারে আরও শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিচ্ছে। এমন হলে কাজ করা সম্ভব নয়।
আরেক শ্রমিক মিজানুর রহমান বলেন, একদিন কাজে না আসলে বাড়ির চুলায় আগুন জ্বলবে না। বাধ্য হয়েই এই তীব্র শীতের ভোরে কাজে আসতে হচ্ছে৷
চুয়াডাঙ্গা শহরে প্যাডেলচালিত রিকসাচালক আসলাম উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঠান্ডায় হাত-পা বরফ হয়ে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে ফ্রীজের মধ্যে আছি। অ্যজমা সমস্যায় দীর্ঘদিন যাবত ভুগছি। সকালে বাইরে বের হতে মানা করেছেন চিকিৎসক। তবুও পেটের দ্বায়ে বের হয়েছি। তীব্র শীতে লোকজন কম থাকায় উপার্জন কম হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল হাসান বলেন, আজ শনিবার সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ থেকে জেলার উপর দিয়ে দ্বিতীয় দফায় মৃদু শৈতপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, যা দু’একদিন অব্যাহত থাকতে পারে। আগামী ৪-৬ জানুয়ারি পর্যন্ত মেঘের উপস্থিতি থাকতে পারে। সেই জন্য তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এএইচ