‘কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় চাই’ এ শ্লোগানে চুয়াডাঙ্গায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ।
বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন আন্তঃক্যাডার নিরসন পরিষদ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, উপসচিব পদে সকল কোটার অবসান চাই এবং জনবান্ধন সিভিল সার্ভিস চায়। প্রশাসন ক্যাডারে ৫ বছরের মধ্যে পদন্নোতি হলেও অন্যান্য ক্যাডারে ১০ বছরেও পদন্নোতি হয় না। নির্ধারিত সময়ে পদন্নোতির দাবি করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানিয়েছেন, ‘বিসিএস সিভিল সার্ভিসে প্রতিযোগিতমূলক পরীক্ষার মাধ্যমে ২৬টি ক্যাডারে দেশের মেধাবী জনগোষ্ঠী দেশ গঠনে গণতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। অথচ কর্মজীবনে শুধুমাত্র বিসিএস প্রশাসন ক্যাডার সঠিক সময়ে বিশেষ সুযোগ সুবিধা উপভোগ করলেও অন্যান্য ক্যাডার নিয়মতান্ত্রিক নানা সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত, যা দক্ষতা ভিত্তিক জনবান্ধব জনপ্রশাসন গড়ে তোলার প্রধান অন্তরায়।
সাম্প্রতিক জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের নানা বিতর্কিত মন্তব্য ও প্রস্তাবনা প্রশাসন ভিন্ন অন্যান্য ২৫ ক্যাডারের সদস্যদেরকে ক্ষুদ্ধ করেছে।
মানববন্ধনে বিভিন্ন ক্যাডারের প্রতিনিধিবৃন্দ ৮ দফা দাবি উত্থাপন করেছেন।
সেগুলো হলো- ‘ক্যাডার যার মন্ত্রণালয় তার’ নিশ্চিত করতে হবে, সকল ক্যাডারে সুযোগ সুবিধার সাম্য বিধান করতে হবে, উপসচিব পদে সকল কোটার অবসান করে মেধা ও দক্ষতাভিত্তিক প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে পদায়ন করতে হবে, সকল ক্যাডারে সম গ্রেডের পদসোপান সৃষ্টি করতে হবে, বিসিএস স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ক্যাডারকে ক্যাডার বহির্ভূতকরণের ষড়যন্ত্রকে অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে, স্ব-স্ব ক্যাডারের সিডিউলভুক্ত পদে একমাত্র সংশ্লিষ্ট ক্যাডার থেকেই পদায়ন করতে হবে, সকল ক্যাডারে নিয়মতান্ত্রিক বদলী ও যথাসময়ে পদোন্নতি নীতিমালার বাস্তবায়ন করতে হবে, প্রত্যেকটি সরকারি দপ্তরকে জবাবদিহিতামূলক ও জনবান্ধব সেবা নিশ্চিত করতে হবে।
মানববন্ধনে চুয়াডাঙ্গায় কর্মরত ২৫ টি ক্যাডারের সরকারি কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধনে কৃষি ক্যাডারের উপ পরিচালক মাসুদুর রহমান সরকার, স্বাস্থ্য ক্যাডারের ডা. আওলিয়ার রহমান, প্রাণিসম্পদ বিভাগের ক্যাডার ডা. আ হ ম শামীমুজ্জামান ও শিক্ষা ক্যাডারের মাহমুদুল হাসান বক্তব্য রাখেন।
এএইচ