চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার জয়রামপুরে ট্রেনের ধাক্কায় নিহত অজ্ঞাত বৃদ্ধের (৭০) পরিচয় সনাক্ত করতে পারেনি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ বা ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টকে (সিআইডি)। ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করে ঢাকাতে প্রেরণ করেছেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সোমবার (২৫ মার্চ) মৃতদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার দাফন সম্পন্ন করা হবে। সিআইডি ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিলেও পরিচয় সনাক্ত করতে পারেনি। তাই ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করে ঢাকাতে পাঠিয়েছে।
এর আগে রোবরার (২৪ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এই অজ্ঞাত বৃদ্ধের মৃত্যু হয়।
সদর হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি) ডা. এহসানুল হক তন্ময় মৃত্যুর বিষয়টি রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বৃদ্ধের মাথায় গুরুতর আঘাত ছিল। তিনি অচেতন অবস্থায় ছিলেন। আমার তত্ত্ববধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন এই অজ্ঞাত বৃদ্ধ। অনেক চেষ্টা করেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
উদ্ধারকারিদের বরাত দিয়ে জানা যায়, গত ২০ মার্চ সকালে দামুড়হুদার জয়রামপুর স্টেশনের অদূরে বড়পুলের মাঠ নামক স্থানে রেললাইনের পাশে আহত অবস্থায় এক অজ্ঞাত বৃদ্ধকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। এসময় তিনি অচেতন ছিলেন।
পরে বৃদ্ধকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরিচয় না পাওয়া গত দুদিন যাবত সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান ও দুস্থের আস্থা নামক স্বেচ্ছাসেবি সংগঠনের উদ্যোগে বৃদ্ধকে দেখভাল করা হচ্ছিল। গত পরশু রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিনি মারা যান।
এএইচ