মেহেরপুর গাংনীতে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের নারীসহ ৬ জন আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ বুধবার (২০ নভেম্বর) সকালে বামন্দী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদেরকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
আহতরা হলেন, বামন্দী বাজারপাড়ার মৃত. দেলবার হোসেনের ছেলে আজিজুল (৭০), আজিজুল ইসলামের ছেলে দুলাল (৩৫), জালাল উদ্দিনের স্ত্রী রেখসোনা খাতুন (৩০), জলিমদ্দীনের ছেলে মজিবুল হক (৪৪), জলিমদ্দীনের ছেলে নাজিমুদ্দিন (৫০) ও নাজিমুদ্দিনের ছেলে নাইম হোসেন (৩২)। এরমধ্যে আজিজুল হকের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেছেন চিকিৎসক।
আহত মজিবুল হক জানান, নাজমুল ও তাহাজ উদ্দিন আমার ফুফাতো ভাই। তারা তাদের মায়ের সম্পত্তির অংশ মোতাবেক ৩ শতাংশ জমি রয়েছে। এবং সেখানেই তারা বসবাস করেন। তিন শতাংশ জমি আইনগতভাবে পেলেও জোর জবরদস্তি করে আরও ৮ শতাংশ জমি দখল করে আছে। এ নিয়ে আদালতে মামলাও চলমান রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের মালিকানা জমির উপরে অনেক গুলো দোকান রয়েছে। কয়েকটি দোকান ফুফাতো ভাইয়েরা স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ভাড়ায় নেন, এবং প্রতি মাসে ভাড়াও প্রদান করেন। কিন্তু হঠাৎ করে নাজমুল ও তাহাজ উদ্দিন দাবী করে বসে দোকান তাদের এবং জোর করে দখের চেষ্টা করেন। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার সমাধানের চেষ্টা করা হলেও কোনো সমাধান হয়নি।
আহত দুলাল হোসেন জানান, আমাদের মালিকানা জমি ও দোকান ঘর নাজমুল ও তাহাজ উদ্দিনরা জোর করে দখল নিতে যায়। আদালত ও আইনকে তারা মানতে চাইনা। আজ সকালে কিছু বুঝে ওঠার আগেই নাজমুল, তাহাজ, হাসিব, সাব্বির, আবির, সেন্টু,মিসকাত, রহিদুল, তুহিন, হাবিবসহ ২৫-৩০ জনের একটি দল তাদের বাজারের উপর বাড়ির সাথে দোকানে দেশীয় অস্ত্র, হাসুয়া,লোহার রড,লাঠি নিয়ে অতর্কিত হামলা চালাই, এ সময় বাড়ি থেকে মহিলারা ঠেকাতে গেলে তাদেরকেও মেরে গুরুতর আহত করে।
এ বিষয়ে গাংনী থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) বানী ইসরাইলের নাম্বারে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এএইচ
হামিদুল ইসলাম, প্রতিবেদক মেহেরপুর 






















