চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা নামল ১৪ ডিগ্রীতে। ঘন কুয়াশা ও হিমেল বাতাসে বেশ শীত অনুভূত হচ্ছে। আর এই শীত মৌসুমে খেজুর গাছ থেকে সুস্বাদু রস আহরণের লক্ষ্যে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৌসুমি গাছিরা। আর কয়েকদিনের মধ্যে বাজারে উঠবে খেজুর গুড়।
আজ সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকাল ৯ টায় চুয়াডাঙ্গায় ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। যা আজকের তাপমাত্রা চলছি মৌসুমে এটিই জেলার সর্বনিম্ন।
এর আগে সকাল ৬টায় ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
গতকাল রোববার (১৭ নভেম্বর) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা একদিনের ব্যবধানে ১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমল।
এদিকে, শীতের শুরুতেই চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে বেড়েছে শীতজনিত রোটা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শিশু ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা। গত এক সপ্তাহে শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়াসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগে হাসপাতালের আউটডোরে তিন হাজারের বেশি বয়োবৃদ্ধরা চিকিৎসা নিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন।
তিনি বলেন, শীতজনিত কারণে রোটা ভাইরাসে শিশু ডায়রিয়া রোগী বেড়েছে। নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যাও ব্যাপকহারে বাড়ছে। এছাড়া শীতজনিত কারণে হাসপাতালের আউটডোরে প্রতিদিন ৪০০-৫০০ শিশু-বয়োবৃদ্ধ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।
মাজেদুল ইসলাম নামের এক শ্রমিক রেডিও চুয়াডাঙ্গা বলেন, শীত এসে পড়েছে। ভোরে কাজ করার সময় হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে। আর কয়েকদিনের মধ্যে শীতের তীব্রবা আরও বাড়বে। তখন কাজ করা মুশকিল হয়ে পড়বে।
বেসরকারি স্কুল শিক্ষক সজিব উদ্দিন রেডিও চুয়াডাঙ্গা বলেন, গ্রামে ঠান্ডা বেশি লাগছে। ভোর থেকে কুয়াশা ও হিমেল বাতাসের কারণে কাপিয়ে দিচ্ছে শরীর।
চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যৈষ্ঠ পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান রেডিও চুয়াডাঙ্গা বলেন, আজ সোমবার সকাল ৬টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪দশমিক ৫ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রতিদিন ১-২ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমবে।
এএইচ