চুয়াডাঙ্গায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময়ে হত্যাচেষ্টা ও চাঁদাবাজির অভিযোগের মামলায় জীবননগর উপজেলার সাবেক সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইশাবুল ইসলাম মিল্টনকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ সোমবার (১১ নভেম্বর) সকালে জীবননগর থানা পুলিশের মামুন হোসেন রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, রোববার (১০ নভেম্বর) পাশ্ববর্তী ঝিনাইদহ জেলা মহেশপুর থানা পুলিশের সহযোগীতায় মহেশপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সরকার পরিবর্তনের পর থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। তিনি চাঁদাবাজি ও হত্যা মামলার আসামী। আজ সোমবার সকালে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
এর আগে, গত ১৮ অক্টোবর জীবননগর পৌরসভার রাজনগর গ্রামের আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে হত্যাচেষ্টা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে তুলে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলী আজগর টগরসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনে ১২২ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে জীবননগর থানায় মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইশাবুল ইসলাম মিল্টনকে ৭ নং আসামী করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৮ জুলাই বেলা সাড়ে ৩ টার দিকে জীবননগর বাসস্ট্যান্ড চত্বরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সাবেক এমপি টগরের নির্দেশনায় সশস্ত্র দলবল আতঙ্ক ও বিশৃঙ্খলা করে এলাকায় অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করেছিল। এ সময় আনোয়ার হোসেন প্রতিবাদ করতে গেলে তাঁকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি এবং তাঁর সঙ্গে থাকা তুষার নামের এক ব্যক্তিকে মারধর করা হয়। তিনি তুষারকে বাঁচাতে গেলে আনোয়ারের ব্যাগে থাকা ৭ লাখ ২৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। একই সঙ্গে আনোয়ারের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন এমপির লোকজন।
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর দেশের কতিপয় আওয়ামী লীগ সমর্থিত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা গা ঢাকা দেন। জনপ্রতিনিধি না থাকায় সেবাপ্রার্থী মানুষের দুর্ভোগ কমাতে ৩৬৩টি ইউনিয়ন পরিষদে আর্থিক ও প্রশাসক ক্ষমতা অর্পনের সিদ্ধান্ত জানিয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। এরই মধ্যে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইসাবুল ইসলাম মিল্টন আত্মগোপনে থাকায় অত্র পরিষদ পরিচালনার জন্য প্রশাসক হিসেবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দায়িত্ব পালন করছেন।
এএইচ