চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পীরগঞ্জ ঠাকুরপুরে যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে খাদ্য অধিদপ্তরের সরকারি ৯ বস্তা চাল উদ্ধার করেছে।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) ট্রলি চালক মুক্তার আলীর ঘর থেকে চালের বস্তাগুলো উদ্ধার হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মুক্তারকে হেফাজতে নেওয়া হয়। তিনি ঠাকুরপুর গ্রামের মৃত আলী হোসেনের ছেলে।
এছাড়াও, এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে যৌথবাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে আরোও দুজনকে আটক করেছে।
আটককৃতরা হলেন— ঠাকুরপুর গ্রামের মৃত হারিস উদ্দীনের ছেলে টিটন হোসেন ও শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের গাড়াবাড়িয়া গ্রামের মোকসেদ মণ্ডলের ছেলে ইকরামুল হক ইকরা।
তবে এ ঘটনার বিষয়ে একটি পক্ষ বলছে, ৯ জন কার্ডধারীর কার্ডের মাধ্যমে ডিলারের নিকট থেকে চালগুলো উত্তোলন করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সামসুল ইসলাম জানান, অভিযানের আগে বেলা ২টার দিকে গ্রামের পঁচা নামের এক ভ্যানচালক ৯ বস্তা চাল মুক্তারের বাড়িতে নামিয়ে দেয়। এ সময় চালের বস্তাগুলো নিয়ে গ্রামবাসীদের মধ্যে কৌতূহলের সৃষ্টি হয়। এর এক ঘণ্টার মধ্যেই সেনাবাহিনীর সদস্যরা তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে চালের বস্তাগুলো উদ্ধার করে।
মুক্তার আলী জানান, একই গ্রামের মৃত হারিস উদ্দীনের ছেলে ক্যারাম বোর্ড ব্যবসায়ী টিটন হোসেন দুপুরে পচাঁর ভ্যানযোগে নয় বস্তা চাল তার বাড়িতে পাঠান। দুপুরে তিনি বাড়িতে এসে স্ত্রী চুমকি খাতুনের নিকট থেকে এ ঘটনা জানতে পারেন।
তিনি বলেন, ‘চালগুলোর বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। টিটন হোসেন আমার দূর সম্পর্কের আত্মীয়। সে চালগুলো কোথায় পেয়েছে তাও আমার জানা নেই।’
তবে একটি সূত্রে জানা গেছে, চালগুলো টিসিবির ৯ জন কার্ডধারীর। তাদের কার্ডগুলো একত্রিত করে একসাথে চালগুলো উঠানো হয়েছিলো। তবে ওই ৯ জনের মধ্যে পক্ষবিপক্ষ তৈরি হওয়ায় যৌথবাহিনীর কাছে চালের বস্তাগুলো নিয়ে অভিযোগ যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কার্ডধারীদের একজন বলেন, এই চালগুলো নির্ধারিত ডিলারের কাছ থেকে একত্রিতভাবে ৯ জনের কার্ডের বিপরীতেই নেয়া হয়েছিলো।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) খালেদুর রহমান বলেন, ‘আটক মুক্তার আলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আমরা আরও কিছু তথ্য হাতে পেয়েছি। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।’
এএইচ