চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা, জীবননগরসহ দেশের ১৫২টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।
আগামী ৮, ২৩, ২৯ মে ও ৫ জুন চার ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। জামানতের টাকা বাড়িয়ে ও স্বতন্ত্রদের প্রার্থিতা সহজের পর এ নির্বাচন হচ্ছে। এসব উপজেলায় চেয়ারম্যান, সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের এ সাধারণ নির্বাচন হবে।
তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন ১৫ এপ্রিল এবং ভোটগ্রহণ আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিত হবে।
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রথম ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় ১৫ এপ্রিল, বাছাই ১৭ এপ্রিল, প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। ভোট হবে ৮ মে। তিনি বলেন, ইভিএমে ভোট হবে ২২টি উপজেলায় এবং বাকিগুলোয় ব্যালট পেপারে নির্বাচন হবে। দলীয় প্রতীকে উপজেলা পরিষদের এ নির্বাচন হবে। পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থিতাও রয়েছেন।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার আগে থেকেই দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলার ভোটের মাঠে জনসংযোগ ও সভা-সমাবেশ অব্যহত রেখেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
জীবননগর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মাঠে রয়েছেন জীবননগর উপজেলা পরিষদের বর্তমানে চেয়ারম্যান হাজি হাফিজুর রহমান ও সাংবাদিক এস কে লিটন।
এছাড়া গুঞ্জন রয়েছে বিএনপি নেতা ময়েন উদ্দিন ময়েন ও জীবননগর উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা সাজেদুর রহমান প্রার্থী হতে পারেন।
সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে নাম শোনা যাচ্ছে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ঈশা, সাংবাদিক কাজী শামসুর রহমান চঞ্চল, আওয়ামী লীগ নেতা সাইদুর রহমান মাস্টার ও জীবননগর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মাঠে রয়েছেন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সুলতানা লাকি ও মহিলা আওয়ামী লীগ নেতা রেনুকা আক্তার।
এদের মধ্যে নির্বাচনী এলাকায় বেশ আগে থেকেই জনসংযোগ, পথসভা, উঠান বৈঠক করে যাচ্ছেন মাইটিভির সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টার এসকে লিটন। দিনরাত এক করে ভোটের মাঠে বেশ ভালো অবস্থান তৈরি করে ফেলেছেন তিনি। তবে বর্তমান চেয়ারম্যান হাজি হাফিজুর রহমানও পিছিয়ে নেই। তিনিও নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।
পুনরায় চেয়ার দখল রাখতে তিনি সবরকম চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আর বিএনপি ও জামায়াত দলীয়ভাবে নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মাঝেও উপজেলা বিএনপি নেতা ময়েন উদ্দিন ময়েন ও উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা সাজেদুর রহমানের নাম শোনা যাচ্ছে।
অপর দিকে, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যান পদে লড়তে মাঠে রয়েছেন দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান আলী মুনসুর বাবু। এছাড়া সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজি শহিদুল ইসলাম এবং চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা আজিজুর রহমান প্রার্থী হতে পারেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য প্রার্থী হতে পারেন দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ আলী এবং দামুড়হুদা উপজেলা জামায়াতের আমির মো. নায়েব আলী। তবে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে এখনো কারো নাম শোনা যায়নি। এর বাইরেও অনেক প্রার্থী মনোনয়নপত্র উত্তোলন ও নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন বলে জানা গেছে।
এএইচ