০৭:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শহরে যানজট নিরসনে রোড ডিভাইডার স্থাপনে প্রশংসায় ভাসছে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ

চুয়াডাঙ্গা জেলার চার উপজেলার প্রায় ১২ থেকে ১৫ লাখ মানুষ প্রতিদিন চুয়াডাঙ্গা শহরে বিভিন্ন প্রয়োজনে চলাচল করেন। এই শহরের শহিদ আবুল কাশেম সড়কটিতে স্থায়ী বিভাজক আছে। তবে শহরের অধিকাংশ দোকানপাট ও অফিস বড় বাজার কেন্দ্রিক হওয়ায় সব থেকে বেশি চাপ পড়ে বড় বাজারেই।

শহরের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত বড় বাজার চৌরাস্তার মোড়ে সবসময়ই ভিড় থাকে। বাইপাস সড়ক না থাকায় চুয়াডাঙ্গা থেকে মেহেরপুর, যশোর, কুষ্টিয়া বা ঝিনাইদহ ও ঢাকাসহ সবকটি আঞ্চলিক রুটে যেতে হয় এই মোড় ঘুরেই। সমবায় নিউ মার্কেট, প্রিন্স প্লাজা, আব্দুল্লাহ সিটি, মুন সুপার মার্কেট, বড় বাজারের সবজি ও মাংসের বাজার, পুরাতন গলির মার্কেটও এই স্থানের সন্নিকটে।

পোশাক ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সবকিছু নিতেই চুয়াডাঙ্গাবাসীর ভরসা বড় বাজার কেন্দ্রিক এলাকা। দুটি সরকারি জেলা স্কুল, শিল্পকলা একাডেমিসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের কারণে শহিদ আবুল কাশেম সড়ক ও বড় বাজার ব্যস্ততম এলাকা।

সরেজমিনে বড় বাজারের দীর্ঘদিনের চিত্র পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, শহরের এই স্থানটিতে সবসময় ভিড় লেগেই থাকে। অতিরিক্ত চাপ হওয়ায় গাড়ি পার্কিংয়ের জন্যও নির্ধারিত জায়গা নেই। যেখানে সেখানে গাড়ি পার্কিং ও সদর থানার সামনে থেকে চৌরাস্তা মোড়ের জনবহুল এলাকায় সড়ক বিভাজক না থাকায় শৃঙ্খলা ছিল না গুরুত্বপূর্ণ এই পয়েন্টে।

ইচ্ছামতো চলাচলে নানা সময়ই এই স্থানে দুর্ঘটনাও ঘটত। তবে গত কয়েকদিনে শহরের এই গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টটিতে কিছুটা ফিরেছে শৃঙ্খলা। সরেজমিনে আরো দেখা যায়, জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের দেয়া সড়ক বিভাজকের কারণে খুব বেশি যানজট থাকছে না। রাস্তাটিতে পায়ে হাঁটার জন্য আলাদা ও মাঝ বরাবর সড়ক বিভাজক থাকায় যানবহন ও হেঁটে চলা মানুষের কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। এমন উদ্যোগে ট্রাফিক বিভাগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সচেতন মহল ও পথচারীরা।

ভ্যানচালক আকরাম আলী বলেন, ডিভাইডারে দিয়ে একটু সুবিধা হয়েছে। দাঁড়ানোর জায়গা না থাকলেও যানজট হচ্ছে না। পথচারী সোহেল রহমান বলেন, এদিকে থাকে অটো, ওদিকে থাকে ভ্যান, মাঝখানে মোটরসাকেলের গুতো। হাঁটা যায় না শহরের এই স্থানটি দিয়ে।

তবে পুলিশ দেখছি, ডিভাইডার দিয়েছে। ভালো করেছে। অন্তত কিছুটা হাঁটার জায়গা বেরিয়েছে। এবার এখান থেকে বাস ছাড়া বন্ধ করতে হবে। একেবারে বড় বাজারের রাস্তার উপরে বাস দাঁড়িয়ে থাকে। এতেও সমস্যা। পোশাক ব্যবসায়ী রতন আলী বলেন, ঈদের সিজনে একটু লোকজন হয়। কিন্তু বড় বাজারে কোথাও গাড়ি রাখার জায়গা নেই। এটি বড় সমস্যা। তবে সড়ক বিভাজক দিয়ে কেউ যেখানে সেখানে অটো কিংবা ভ্যান দাঁড় করিয়ে রাখতে পারছে না। কিছুটা যানজট কমেছে।

চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান (পিপিএম সেবা) বলেন, সকলের মতামত নিয়ে যানজট নিরসন ও সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান তথা বড় বাজারে বিভাজক স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শহরটি যানজটমুক্ত রাখতে আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান আরও বলেন, ঈদের পর স্থায়ী সড়ক বিভাজক দেওয়ার বিষয়ে সড়ক দপ্তরের সাথে বসব। আমরা চাই এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান হোক।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

জনপ্রিয়

দর্শনা থানা পুলিশের অভিযানে ৬ কেজি গাজাসহ দুজন আটক

শহরে যানজট নিরসনে রোড ডিভাইডার স্থাপনে প্রশংসায় ভাসছে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ

প্রকাশের সময় : ০৭:১৭:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪

চুয়াডাঙ্গা জেলার চার উপজেলার প্রায় ১২ থেকে ১৫ লাখ মানুষ প্রতিদিন চুয়াডাঙ্গা শহরে বিভিন্ন প্রয়োজনে চলাচল করেন। এই শহরের শহিদ আবুল কাশেম সড়কটিতে স্থায়ী বিভাজক আছে। তবে শহরের অধিকাংশ দোকানপাট ও অফিস বড় বাজার কেন্দ্রিক হওয়ায় সব থেকে বেশি চাপ পড়ে বড় বাজারেই।

শহরের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত বড় বাজার চৌরাস্তার মোড়ে সবসময়ই ভিড় থাকে। বাইপাস সড়ক না থাকায় চুয়াডাঙ্গা থেকে মেহেরপুর, যশোর, কুষ্টিয়া বা ঝিনাইদহ ও ঢাকাসহ সবকটি আঞ্চলিক রুটে যেতে হয় এই মোড় ঘুরেই। সমবায় নিউ মার্কেট, প্রিন্স প্লাজা, আব্দুল্লাহ সিটি, মুন সুপার মার্কেট, বড় বাজারের সবজি ও মাংসের বাজার, পুরাতন গলির মার্কেটও এই স্থানের সন্নিকটে।

পোশাক ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সবকিছু নিতেই চুয়াডাঙ্গাবাসীর ভরসা বড় বাজার কেন্দ্রিক এলাকা। দুটি সরকারি জেলা স্কুল, শিল্পকলা একাডেমিসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের কারণে শহিদ আবুল কাশেম সড়ক ও বড় বাজার ব্যস্ততম এলাকা।

সরেজমিনে বড় বাজারের দীর্ঘদিনের চিত্র পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, শহরের এই স্থানটিতে সবসময় ভিড় লেগেই থাকে। অতিরিক্ত চাপ হওয়ায় গাড়ি পার্কিংয়ের জন্যও নির্ধারিত জায়গা নেই। যেখানে সেখানে গাড়ি পার্কিং ও সদর থানার সামনে থেকে চৌরাস্তা মোড়ের জনবহুল এলাকায় সড়ক বিভাজক না থাকায় শৃঙ্খলা ছিল না গুরুত্বপূর্ণ এই পয়েন্টে।

ইচ্ছামতো চলাচলে নানা সময়ই এই স্থানে দুর্ঘটনাও ঘটত। তবে গত কয়েকদিনে শহরের এই গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টটিতে কিছুটা ফিরেছে শৃঙ্খলা। সরেজমিনে আরো দেখা যায়, জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের দেয়া সড়ক বিভাজকের কারণে খুব বেশি যানজট থাকছে না। রাস্তাটিতে পায়ে হাঁটার জন্য আলাদা ও মাঝ বরাবর সড়ক বিভাজক থাকায় যানবহন ও হেঁটে চলা মানুষের কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। এমন উদ্যোগে ট্রাফিক বিভাগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সচেতন মহল ও পথচারীরা।

ভ্যানচালক আকরাম আলী বলেন, ডিভাইডারে দিয়ে একটু সুবিধা হয়েছে। দাঁড়ানোর জায়গা না থাকলেও যানজট হচ্ছে না। পথচারী সোহেল রহমান বলেন, এদিকে থাকে অটো, ওদিকে থাকে ভ্যান, মাঝখানে মোটরসাকেলের গুতো। হাঁটা যায় না শহরের এই স্থানটি দিয়ে।

তবে পুলিশ দেখছি, ডিভাইডার দিয়েছে। ভালো করেছে। অন্তত কিছুটা হাঁটার জায়গা বেরিয়েছে। এবার এখান থেকে বাস ছাড়া বন্ধ করতে হবে। একেবারে বড় বাজারের রাস্তার উপরে বাস দাঁড়িয়ে থাকে। এতেও সমস্যা। পোশাক ব্যবসায়ী রতন আলী বলেন, ঈদের সিজনে একটু লোকজন হয়। কিন্তু বড় বাজারে কোথাও গাড়ি রাখার জায়গা নেই। এটি বড় সমস্যা। তবে সড়ক বিভাজক দিয়ে কেউ যেখানে সেখানে অটো কিংবা ভ্যান দাঁড় করিয়ে রাখতে পারছে না। কিছুটা যানজট কমেছে।

চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান (পিপিএম সেবা) বলেন, সকলের মতামত নিয়ে যানজট নিরসন ও সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান তথা বড় বাজারে বিভাজক স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শহরটি যানজটমুক্ত রাখতে আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান আরও বলেন, ঈদের পর স্থায়ী সড়ক বিভাজক দেওয়ার বিষয়ে সড়ক দপ্তরের সাথে বসব। আমরা চাই এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান হোক।