১১:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আলমডাঙ্গায় সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে গণডাকাতি : পিটিয়ে নগত টাকা-স্বর্ণালংকার লুট

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার আট কপাট এলাকায় সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে তিনঘন্টা যাবত তান্ডব চালিয়েছে ডাকাতদল। এ সময় ঢাকা থেকে আসা যাত্রীবাহী নৈশকোচ, ট্রেন যাত্রী, গর্ভবতী নারীসহ বেশ কয়েকজনকে বেধড়ক পিটিয়ে নগদ অর্থ ও গয়নাগাটি লুটে নেয় ডাকাতদল।

বুধবার (০৯ অক্টোবর) মধ্যরাত ৩টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত আলমডাঙ্গার আটকপাট এলাকায় এ তান্ডব তালায়। তারা একটি মেহগনি গাছ কেটে সড়কে ব্যারিকেট দেয়। রাত সাড়ে ৩ টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত যারাই ওই সড়ক ধরে যাওয়া আসার চেষ্টা করেছে তারাই ডাকাতদের কবলে পড়ে সর্বস্ব হারিয়েছে।

আরও পড়ুন

চুয়াডাঙ্গায় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গণডাকাতি, কুপিয়ে ও পিটিয়ে নগদ টাকা-স্বর্ণালঙ্কার লুট

রাত সাড়ে ৩ টার দিকে প্রথম ডাকাতের কবলে পড়েন আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছি গ্রামের মৃত খোকা মন্ডলের ছেলে তাসমান। গভীর রাতে তাসমানের গর্ভবতী মেয়ে সুলতানার প্রসব বেদনা ওঠে। সেই রাতেই মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে প্রতিবেশী হাসানের ভ্যানে করে আলমডাঙ্গার একটি স্থানীয় ক্লিনিকে নিয়ে আসছিলেন। আট কপাট এলাকায় পৌঁছালে তারা ডাকাতের কবলে পড়েন। ডাকাতরা তাসমান ও ভ্যানচালক হাসানকে বেদম পিটিয়ে তাদের কাছে থাকা টাকা কেড়ে নেয়। একইসময় তাসমানের স্ত্রীর কানের ও হাতের গয়না কেড়ে নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়।


এরপর রাত সাড়ে ৪ টার দিকে ডাকাতদলের কবলে পড়েন পাঁচলিয়া গ্রামের বকুল হোসেনের ছেলে বেলাল। তিনি তার স্ত্রীকে নিয়ে গভীর রাতে ট্রেন থেকে আলমডাঙ্গা স্টেশনে নামেন। দীর্ঘক্ষণ স্টেশনে বসে থেকে রাত ৪ টার পর ভ্যানে করে পাঁচলিয়ায় বাড়ি ফিরছিলেন। আটকপাট এলাকায় পৌঁছলে ডাকাতরা প্রথমে বেলাল ও ভ্যানচালককে বেধড়ক মারপিট করতে থাকে। এরপর গামছা দিয়ে বেলালের মুখ বেঁধে ফেলে।

আরও পড়ুন

সবশেষে ডাকাতের কবলে পড়েন হাউসপুর গ্রামের রহমানের ছেলে কশাই শরিফুল ইসলাম। তিনি ভোরের দিকে আসাদুল নামের একজনের ভ্যানে করে বেলগাছি গ্রামে যাচ্চিলেন গরু কিনতে। তিনিও ডাকাতের কবলে পড়েন। তাকেও মারধর করে তার কাছে থাকা নগদ টাকা কেড়ে নেওয়া হয়। এরপর পরই সকাল হলে ডাকাতরা স্থান ত্যাগ করে চলে যায়। সেইসাথে আলমডাঙ্গা-বেলগাছি সড়কের আটকপাটে প্রায় ৩ ঘন্টা ধরে চলা ডাকাতদের তান্ডব থামে।

আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সাঈদ জানান, ডাকাতির ঘটনায় ভুক্তভোগী কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি।

One thought on “আলমডাঙ্গায় সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে গণডাকাতি : পিটিয়ে নগত টাকা-স্বর্ণালংকার লুট

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

জনপ্রিয়

জীবননগরে সাবেক সেনা সদস্যের স্ত্রীকে নিয়ে পালালেন বিএনপি নেতা

আলমডাঙ্গায় সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে গণডাকাতি : পিটিয়ে নগত টাকা-স্বর্ণালংকার লুট

প্রকাশের সময় : ১২:৩১:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার আট কপাট এলাকায় সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে তিনঘন্টা যাবত তান্ডব চালিয়েছে ডাকাতদল। এ সময় ঢাকা থেকে আসা যাত্রীবাহী নৈশকোচ, ট্রেন যাত্রী, গর্ভবতী নারীসহ বেশ কয়েকজনকে বেধড়ক পিটিয়ে নগদ অর্থ ও গয়নাগাটি লুটে নেয় ডাকাতদল।

বুধবার (০৯ অক্টোবর) মধ্যরাত ৩টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত আলমডাঙ্গার আটকপাট এলাকায় এ তান্ডব তালায়। তারা একটি মেহগনি গাছ কেটে সড়কে ব্যারিকেট দেয়। রাত সাড়ে ৩ টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত যারাই ওই সড়ক ধরে যাওয়া আসার চেষ্টা করেছে তারাই ডাকাতদের কবলে পড়ে সর্বস্ব হারিয়েছে।

আরও পড়ুন

চুয়াডাঙ্গায় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গণডাকাতি, কুপিয়ে ও পিটিয়ে নগদ টাকা-স্বর্ণালঙ্কার লুট

রাত সাড়ে ৩ টার দিকে প্রথম ডাকাতের কবলে পড়েন আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছি গ্রামের মৃত খোকা মন্ডলের ছেলে তাসমান। গভীর রাতে তাসমানের গর্ভবতী মেয়ে সুলতানার প্রসব বেদনা ওঠে। সেই রাতেই মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে প্রতিবেশী হাসানের ভ্যানে করে আলমডাঙ্গার একটি স্থানীয় ক্লিনিকে নিয়ে আসছিলেন। আট কপাট এলাকায় পৌঁছালে তারা ডাকাতের কবলে পড়েন। ডাকাতরা তাসমান ও ভ্যানচালক হাসানকে বেদম পিটিয়ে তাদের কাছে থাকা টাকা কেড়ে নেয়। একইসময় তাসমানের স্ত্রীর কানের ও হাতের গয়না কেড়ে নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়।


এরপর রাত সাড়ে ৪ টার দিকে ডাকাতদলের কবলে পড়েন পাঁচলিয়া গ্রামের বকুল হোসেনের ছেলে বেলাল। তিনি তার স্ত্রীকে নিয়ে গভীর রাতে ট্রেন থেকে আলমডাঙ্গা স্টেশনে নামেন। দীর্ঘক্ষণ স্টেশনে বসে থেকে রাত ৪ টার পর ভ্যানে করে পাঁচলিয়ায় বাড়ি ফিরছিলেন। আটকপাট এলাকায় পৌঁছলে ডাকাতরা প্রথমে বেলাল ও ভ্যানচালককে বেধড়ক মারপিট করতে থাকে। এরপর গামছা দিয়ে বেলালের মুখ বেঁধে ফেলে।

আরও পড়ুন

সবশেষে ডাকাতের কবলে পড়েন হাউসপুর গ্রামের রহমানের ছেলে কশাই শরিফুল ইসলাম। তিনি ভোরের দিকে আসাদুল নামের একজনের ভ্যানে করে বেলগাছি গ্রামে যাচ্চিলেন গরু কিনতে। তিনিও ডাকাতের কবলে পড়েন। তাকেও মারধর করে তার কাছে থাকা নগদ টাকা কেড়ে নেওয়া হয়। এরপর পরই সকাল হলে ডাকাতরা স্থান ত্যাগ করে চলে যায়। সেইসাথে আলমডাঙ্গা-বেলগাছি সড়কের আটকপাটে প্রায় ৩ ঘন্টা ধরে চলা ডাকাতদের তান্ডব থামে।

আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সাঈদ জানান, ডাকাতির ঘটনায় ভুক্তভোগী কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি।