স্বাস্থ্য উপদেষ্টার আশ্বাসে ১ অক্টোবর সন্ধ্যায় কর্মসূচি স্থগিতের এক সপ্তাহ পর আবারও ঘোষণা দিয়ে চার ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেছেন নার্সরা।
তাঁদের দাবি নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল থেকে ক্যাডার কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার করতে হবে।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সারা দেশে এই কর্মবিরতি পালন করেন তাঁরা। তবে জরুরি বিভাগ, ডায়ালিসিস, জরুরি অস্ত্রোপচার, আইসিইউ, পিআইসিইউ, এনআইসিইউ এই কর্মসূচির বাইরে থাকে।
তারই ভিত্তিতে কর্মবিরতিতে যান চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের নার্সিং ও মিডওয়াইফারী সংস্কার পরিষদের ব্যানারে নার্স ও নার্সিং শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচি পালন করেন।
এদিকে, এই কর্মবিরতি চলাকালে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের রোগীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। মেডিসিন, শিশু, গাইনি, সার্জারি ওয়ার্ডসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে নার্স না থাকায় সমস্যায় পড়তে হয় চিকিৎসকদের। এ সময় রোগীদের নির্ধারিত ওষুধ দেওয়া, স্যালাইন ও ইনজেকশন প্রয়োগে সমস্যায় পড়তে হয়।
চুয়াডাঙ্গা নার্সিং ও মিডওয়াইফারি সংস্কার পরিষদের আহবায়ক রেহেনা আক্তার জানান,
গত ৬ অক্টোবর স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ থেকে দুজন নার্সিং কর্মকর্তাকে পরিচালক পদে পূর্ণ দায়িত্বে পদায়নের পরিবর্তে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এই প্রজ্ঞাপন আমাদের একদফা দাবির পরিপন্থি। দেশের প্রতিটি স্তরের নার্সরা এই প্রজ্ঞাপন প্রত্যাখ্যান করেছে। নার্সরা চলমান আন্দোলনে যথেষ্ট ধৈর্যশীলতার পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন সময় প্রশাসনের দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাসে কর্মবিরতিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করে। কিন্তু দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।
এএইচ