০৭:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কেরুজ চিনিকলের কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে বেতন তুললেন ছাত্রলীগ নেতা, ধরা পড়ে ফেরত দিলেন

জানা গেছে, অবভিযুক্ত লোমান কেরু চিনিকলের মৌশুমি কর্মচারী। আখ মাড়াই মৌমুম চলাকালীন ইক্ষু বিভাগে চাকরি করেন। বছরের বাকি মাসগুলো লোমানের মত অনেক কর্মচারীকে বিভিন্ন দপ্তরে দৈনিক হাজিরার বিনিময়ে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়। এই প্রক্রিয়ায় ছাত্রলীগ নেতা লোমান কেরু জৈব সার কারখানায় চু‌ক্তি‌ভি‌ত্তিক কম্পিউটার অপারেটর হিসাবে কাজ করে আসছিলেন।

গত ফেব্রুয়ারী মাসের ২৩ থেকে ২৮ তারিখ পর্যন্ত শিক্ষা সফরের নামে বিনা চু‌টি‌তে পরিচিত জনদের সাথে তি‌নি কক্সবাজার অবস্থান করে।

এদিকে কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে লোমান কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার কারনে তার হাজিরা শীটে ৬ দিনের হাজিরা কর্তন করা হয়। মহাব্যবস্থাপক (কারখানা) সুমন সাহা এবং ব্যবস্থাপক (উৎপাদন) মোঃ জাহিদুল হক টুটুল স্বাক্ষরিত মাসিক হাজিরা শীট বেতন শাখায় পাঠিয়ে দেন।

একই বিভাগের কম্পিউটার অপা‌রেটর হি‌সে‌বে কাজ করায় লোমান হাজিরা শীটটি গোপনে সংগ্রহ করে তা নষ্ট করে ফেলে এবং আরেকটি নতুন হাজিরা শীট তৈরীক‌রে পূর্ন মাসের হাজিরা সহ কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর জাল করে বেতন শাখায় জমা দেয়।

পরে অন্যান্য সহকর্মীরা বেতন তুলতে যেয়ে দেখে নোমান পূর্ন মাসের হাজিরা পেলেও তারা ৬ দিনের হা‌জিরা ৩ হাজার ৩শ ৫৪ টাকা কম পায়। তখনই বিষয়টি জানাজানি হয়ে পড়লে অন্যান্য শ্রমিকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

বিষয়টি চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোশাররফ হোসেনের কানে পৌছালে তিনি কারখানা ব্যবস্থাপক সুমন সাহা ও কেমিষ্ট জাহিদুল হক টুটুলকে নিজ কক্ষে ডেকে জিজ্ঞাসা করলে তারা হাজিরা শীটের স্বাক্ষর জাল বলে সনাক্ত করেন।

এ বিষয়ে কামরুল হাসান লোমান বলেন, তিনি তার কর্মকর্তাদের জানিয়ে কক্সবাজারে গেছেন। এখন তারা অস্বীকার করছে। তবে স্বাক্ষর জালের বিষযটি নিয়ে লোমান তার অপরাধ স্বীকার করে মোবাইলে বলেন, অফিসের একজনের প্ররোচনায় পড়ে স্বাক্ষর জাল করেছি। তবে তার নাম বলতে তি‌নি অপারগতা প্রকাশ করেন।

এদিকে আসল হা‌জিরা শিট ফে‌লে দি‌য়ে জাল হাজিরা শিট জমা দেবার কথা জানাজানি হয়ে গেলে অ‌বৈধ ভা‌বে উ‌ত্তোলন করা ৬ দিনের হা‌জিরার টাকা ফেরত দিয়েছে বলে জানান।

এব্যাপারে কেরুজ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, অপরাধী প্রমান হলে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এর আগেও এমন ঘটনা কেউ ঘটালেও তা‌কেও ছাড় দেওয়া হ‌বেনা।

One thought on “কেরুজ চিনিকলের কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে বেতন তুললেন ছাত্রলীগ নেতা, ধরা পড়ে ফেরত দিলেন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

জনপ্রিয়

দর্শনা থানা পুলিশের অভিযানে ৬ কেজি গাজাসহ দুজন আটক

কেরুজ চিনিকলের কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে বেতন তুললেন ছাত্রলীগ নেতা, ধরা পড়ে ফেরত দিলেন

প্রকাশের সময় : ০১:১০:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪

জানা গেছে, অবভিযুক্ত লোমান কেরু চিনিকলের মৌশুমি কর্মচারী। আখ মাড়াই মৌমুম চলাকালীন ইক্ষু বিভাগে চাকরি করেন। বছরের বাকি মাসগুলো লোমানের মত অনেক কর্মচারীকে বিভিন্ন দপ্তরে দৈনিক হাজিরার বিনিময়ে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়। এই প্রক্রিয়ায় ছাত্রলীগ নেতা লোমান কেরু জৈব সার কারখানায় চু‌ক্তি‌ভি‌ত্তিক কম্পিউটার অপারেটর হিসাবে কাজ করে আসছিলেন।

গত ফেব্রুয়ারী মাসের ২৩ থেকে ২৮ তারিখ পর্যন্ত শিক্ষা সফরের নামে বিনা চু‌টি‌তে পরিচিত জনদের সাথে তি‌নি কক্সবাজার অবস্থান করে।

এদিকে কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে লোমান কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার কারনে তার হাজিরা শীটে ৬ দিনের হাজিরা কর্তন করা হয়। মহাব্যবস্থাপক (কারখানা) সুমন সাহা এবং ব্যবস্থাপক (উৎপাদন) মোঃ জাহিদুল হক টুটুল স্বাক্ষরিত মাসিক হাজিরা শীট বেতন শাখায় পাঠিয়ে দেন।

একই বিভাগের কম্পিউটার অপা‌রেটর হি‌সে‌বে কাজ করায় লোমান হাজিরা শীটটি গোপনে সংগ্রহ করে তা নষ্ট করে ফেলে এবং আরেকটি নতুন হাজিরা শীট তৈরীক‌রে পূর্ন মাসের হাজিরা সহ কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর জাল করে বেতন শাখায় জমা দেয়।

পরে অন্যান্য সহকর্মীরা বেতন তুলতে যেয়ে দেখে নোমান পূর্ন মাসের হাজিরা পেলেও তারা ৬ দিনের হা‌জিরা ৩ হাজার ৩শ ৫৪ টাকা কম পায়। তখনই বিষয়টি জানাজানি হয়ে পড়লে অন্যান্য শ্রমিকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

বিষয়টি চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোশাররফ হোসেনের কানে পৌছালে তিনি কারখানা ব্যবস্থাপক সুমন সাহা ও কেমিষ্ট জাহিদুল হক টুটুলকে নিজ কক্ষে ডেকে জিজ্ঞাসা করলে তারা হাজিরা শীটের স্বাক্ষর জাল বলে সনাক্ত করেন।

এ বিষয়ে কামরুল হাসান লোমান বলেন, তিনি তার কর্মকর্তাদের জানিয়ে কক্সবাজারে গেছেন। এখন তারা অস্বীকার করছে। তবে স্বাক্ষর জালের বিষযটি নিয়ে লোমান তার অপরাধ স্বীকার করে মোবাইলে বলেন, অফিসের একজনের প্ররোচনায় পড়ে স্বাক্ষর জাল করেছি। তবে তার নাম বলতে তি‌নি অপারগতা প্রকাশ করেন।

এদিকে আসল হা‌জিরা শিট ফে‌লে দি‌য়ে জাল হাজিরা শিট জমা দেবার কথা জানাজানি হয়ে গেলে অ‌বৈধ ভা‌বে উ‌ত্তোলন করা ৬ দিনের হা‌জিরার টাকা ফেরত দিয়েছে বলে জানান।

এব্যাপারে কেরুজ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, অপরাধী প্রমান হলে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এর আগেও এমন ঘটনা কেউ ঘটালেও তা‌কেও ছাড় দেওয়া হ‌বেনা।