১২:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় জন্মদিনের আয়োজন না করায় অভিমানে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা

চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকায় বাবা-মায়ের উপর অভিমান করে কেয়া খাতুন (১৫) নামের এক কিশোরী আত্মহত্যা করেছে।

নিহত কেয়া খাতুন চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার এতিমখানাপাড়ার ইজিবাইক চালক আমির হামজার মেয়ে। সে স্থানীয় এম এ বারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

পৌরসভার ওয়ার্ড কমিশনার শেফালি খাতুন রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, আমি পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, মেয়েটির বাবা ইজিবাইচালক। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) কেয়ার জন্মদিন ছিল। এ উপলক্ষে মেয়েটি জন্মদিনের অনুষ্ঠান আয়োজনে বাবা-মাকে চাপ দিয়ে আসছিল। অভাবের সংসারে মেয়েটির বাবার পক্ষে তা সম্ভব ছিল না। তাই অভিমান করে শনিবার রাতে নিজ ঘরে গলায় ফাঁস দেয়। সকালে পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি দেখতে পাই। পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে কেয়া খাতুনের মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করে সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও সদর থানা পুলিশ।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) জগদীশ চন্দ্র বসু রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, মেয়েটি জন্মদিন পালন নিয়ে বাবা-মায়ের উপর অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে। আমরা মৃত্যুর কারণ জানতে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেছি।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

জনপ্রিয়

নারী সংস্কার কমিশন বাতিলের দাবিতে চুয়াডাঙ্গায় হেফাজতের বিক্ষোভ সমাবেশ

চুয়াডাঙ্গায় জন্মদিনের আয়োজন না করায় অভিমানে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা

প্রকাশের সময় : ০৩:৪৫:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকায় বাবা-মায়ের উপর অভিমান করে কেয়া খাতুন (১৫) নামের এক কিশোরী আত্মহত্যা করেছে।

নিহত কেয়া খাতুন চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার এতিমখানাপাড়ার ইজিবাইক চালক আমির হামজার মেয়ে। সে স্থানীয় এম এ বারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

পৌরসভার ওয়ার্ড কমিশনার শেফালি খাতুন রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, আমি পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, মেয়েটির বাবা ইজিবাইচালক। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) কেয়ার জন্মদিন ছিল। এ উপলক্ষে মেয়েটি জন্মদিনের অনুষ্ঠান আয়োজনে বাবা-মাকে চাপ দিয়ে আসছিল। অভাবের সংসারে মেয়েটির বাবার পক্ষে তা সম্ভব ছিল না। তাই অভিমান করে শনিবার রাতে নিজ ঘরে গলায় ফাঁস দেয়। সকালে পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি দেখতে পাই। পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে কেয়া খাতুনের মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করে সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও সদর থানা পুলিশ।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) জগদীশ চন্দ্র বসু রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, মেয়েটি জন্মদিন পালন নিয়ে বাবা-মায়ের উপর অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে। আমরা মৃত্যুর কারণ জানতে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেছি।