০৬:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে অপারেশনের সময় রোগীর মৃত্যু

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের পিত্তথলি অপারেশনের সময় হালিমা খাতুন (৫৫) নামের নারীর মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

তবে রোগীর স্বজনদের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ করা হয়নি বলে জানিয়েছে সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

হালিমা খাতুন চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সিঅ্যাণ্ডবি পাড়ার আব্দুল কুদ্দুসের স্ত্রী।

সদর হাসপাতাল সুত্রে জানা যায়, হালিমা খাতুনের পিত্তথলিতে পাথর অপসারণের জন্য গত রোববার সদর হাসপাতালে ভর্তি হন হালিমা খাতুন। সোমবার সকালে পরিক্ষা-নিরিক্ষার পর অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হয়। সার্জারী চিকিৎসক হিসেব ছিলেন সদর হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা: এহসানুল হক তন্ময় এবং অ্যানেস্থিশিয়ায় ছিলেন ডা: নুরুন্নাহার খানম।

ডা: এহসানুল হক তন্ময় রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, শুরু থেকে স্বাভাবিকভাবেই আমাদের কার্যক্রম চলছিল। ঠিক অপারেশনের শেষ মুহুর্তে রোগী হঠাৎ করে স্টোক করে। অনেক চেষ্টা করেও বাচানো সম্ভব হয়নি।

তিনি আরও বলেন, আমার কোন ক্রটি ছিলনা৷ ঘটনাটি অ্যানেস্থিশিয়ায় সংক্রান্ত। তাই অ্যানেস্থিশিয়া চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলার জন্য পরামর্শ দেন তিনি।

অ্যানেস্থিশিয়া চিকিৎসক ডা. নুরুন্নাহার খানম বলেন, স্বাভাবিক ভাবেই অপারেশন চলছিল। রোগীও স্বাভাবিক ছিলেন। শেষ মুহুর্তে হঠাৎ স্টোক করেন। আমরা সদর হাসপাতালের প্রায় চিকিৎসককে দ্রুত ডেকেছিলাম। তবুও বাচানো যায়নি।

সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। আমাদের নিকট কেউ কোন অভিযোগ করেননি।

এ বিষয়ে জানতে সিভিল সার্জন ডা: সাজ্জাৎ হাসানের সরকারি নাম্বারে একাধিকবার কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

জনপ্রিয়

ফের বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন সিদ্দিকের প্রাক্তন স্ত্রী

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে অপারেশনের সময় রোগীর মৃত্যু

প্রকাশের সময় : ১০:১২:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের পিত্তথলি অপারেশনের সময় হালিমা খাতুন (৫৫) নামের নারীর মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

তবে রোগীর স্বজনদের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ করা হয়নি বলে জানিয়েছে সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

হালিমা খাতুন চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সিঅ্যাণ্ডবি পাড়ার আব্দুল কুদ্দুসের স্ত্রী।

সদর হাসপাতাল সুত্রে জানা যায়, হালিমা খাতুনের পিত্তথলিতে পাথর অপসারণের জন্য গত রোববার সদর হাসপাতালে ভর্তি হন হালিমা খাতুন। সোমবার সকালে পরিক্ষা-নিরিক্ষার পর অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হয়। সার্জারী চিকিৎসক হিসেব ছিলেন সদর হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা: এহসানুল হক তন্ময় এবং অ্যানেস্থিশিয়ায় ছিলেন ডা: নুরুন্নাহার খানম।

ডা: এহসানুল হক তন্ময় রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, শুরু থেকে স্বাভাবিকভাবেই আমাদের কার্যক্রম চলছিল। ঠিক অপারেশনের শেষ মুহুর্তে রোগী হঠাৎ করে স্টোক করে। অনেক চেষ্টা করেও বাচানো সম্ভব হয়নি।

তিনি আরও বলেন, আমার কোন ক্রটি ছিলনা৷ ঘটনাটি অ্যানেস্থিশিয়ায় সংক্রান্ত। তাই অ্যানেস্থিশিয়া চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলার জন্য পরামর্শ দেন তিনি।

অ্যানেস্থিশিয়া চিকিৎসক ডা. নুরুন্নাহার খানম বলেন, স্বাভাবিক ভাবেই অপারেশন চলছিল। রোগীও স্বাভাবিক ছিলেন। শেষ মুহুর্তে হঠাৎ স্টোক করেন। আমরা সদর হাসপাতালের প্রায় চিকিৎসককে দ্রুত ডেকেছিলাম। তবুও বাচানো যায়নি।

সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। আমাদের নিকট কেউ কোন অভিযোগ করেননি।

এ বিষয়ে জানতে সিভিল সার্জন ডা: সাজ্জাৎ হাসানের সরকারি নাম্বারে একাধিকবার কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।