চুয়াডাঙ্গায় ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করার দাবিতে মানববন্ধন করেছে পেশাদার গাড়ি চালকরা।
শনিবার (৩১ আগস্ট) সকালে শহরের একাডেমী মোড়ে প্রধান সড়কের পাশে মানববন্ধন করেন তারা।
এই মানববন্ধনে চুয়াডাঙ্গা জেলার শতাধিক গাড়ি চালক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা অংশ নেয়।
চুয়াডাঙ্গা বিআরটিএ অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৪৭৭ নম্বর স্মারকে ২০০১ সালে জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য একটি প্রজ্ঞাপন হয়েছিল। চালকদের মানববন্ধন ও আন্দোলনের ফলে ২০২৩ সালে এটি অনুমোদন দেওয়া হয়। সেসময় জন্মতারিখ সংশোধন করে কিছু লাইসেন্স প্রিন্ট করা হয়। বাকীদের একটি তালিকা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর পাঠানো হয়। এখনো পর্যন্ত তা সেভাবেই পড়ে আছে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ চালকরা কেবলমাত্র জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে লাইসেন্সের জন্ম তারিখের মতো ছোটখাট অমিল থাকায় অনেকের ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন হচ্ছে না। নবায়ন না হওয়ায় অনেকের
ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। মেয়াদ উত্তীর্ণ লাইসেন্স নিয়ে তারা রাস্তায় গাড়ি বের করতে পারছেন না। তাদের চাকরি যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে তাদের।’
বক্তারা আরও বলেন, ‘অনেকেই আছেন যাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স যখন করা হয়েছে তখন জাতীয় পরিচয়পত্র ছিল না। পরে জাতীয় পরিচয়পত্র হলে দেখা যায় জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে ড্রাইভিং লাইসেন্সের ছোটখাট কিছু অমিল রয়েছে। এই অমিলের কারণেই তাদের লাইসেন্স আর নতুন করে নবায়ন হচ্ছে না।’
বক্তাদের ভাষ্য, ‘বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টার মানবিক বিবেচনার মধ্য দিয়ে চুয়াডাঙ্গার এসব চালকদের সমস্যার সমাধান হবে বলে আশাবাদী জেলার পেশাদার চালকরা।’
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি এম জেনারেল ইসলাম, ট্রাক ও ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়ের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষে রানা ইসলাম প্রমুখ।
সুত্র : ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশন (অনলাইন)
এএইচ