চুয়াডাঙ্গা পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সিরাজুল ইসলাম কাবা ও তার ভাই ছাত্রলীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম নান্টুকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখমের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার (২৮ আগস্ট) বেলা ১২ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে চুয়াডাঙ্গা আদালতে হাজিরা দিতে গেলে একদল যুবকের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে সিরাজুল ইসলাম কাবা। দু’পক্ষই উত্তেজিত হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি ঘটনা ঘটলে কাবাকে মারধর করা হয়।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন৷ জরুরি বিভাগের সামনে পৌছালে আবারো কাবাকে মারধর করে এবং এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করা হয়। এ সময় কাবার ভাই নান্টুকে এগিয়ে আসলে তাকেও কুপিয়ে জখম করে অজ্ঞাতনামা যুবকরা৷

আহত ছাত্রলীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম নান্টু
খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি দল হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।
সিরাজুল ইসলাম কাবা রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, বুধবার সকালে মামলার হাজিরা দিতে গিয়ে অজ্ঞাতনামা একদল যুবক আমার উপর অতর্কিত হামলা চালাই৷ পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসলে সেখানেও তারা এসে আমাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। আমার ভাই ঠেকাতে আসলে তাকেও কুপিয়ে জখম করা হয়। রাতেই আমার ভাইকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমার উপর যারা হামলা করেছে তাদের কাউকে আমি চিনিনা। ধারণা করছি তারা বিএনপির কর্মী। এ ঘটনায় আমি মামলা দায়ের করব।
এদিকে, এ ঘটনার পর জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক, স্বেচ্ছাসেবকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তারা ডিউটি ছেড়ে নিরাপদস্থানে চলে যান। পরিস্থিতি শান্ত হলে আবারো জরুরি বিভাগের কার্যক্রম শুরু হয়।

আহত সিরাজুল ইসলাম কাবা
জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আল ইমরান জুয়েল রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, জরুরি বিভাগের ঢোকার আগেই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে আমরা নিরাপদস্থানে চলে যায়। শুনেছি দুজনকে মারধর করা হয়েছে। তবে আমি তাদেরকে চিকিৎসা দেয়নি। প্রশাসনের সহযোগিতায় তারা জরুরি বিভাগ থেকে পুরাতন ভবনের অপারেশন থিয়েটার রুমে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
তবে এ ব্যাপারে সদর হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারী) এহসানুল হক তন্ময় রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, দুজনের শরীরের ক্ষতস্থানে ব্যান্ডেজ করা ছিল। ধারাল অস্ত্রের আঘাতে জখম হয়েছে কিনা জানিনা৷ যেহেতু জরুরি বিভাগ থেকে ব্যান্ডেস করা হয়েছে, তা আমি খুলে দেখেনি। জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসকই বলতে পারবেন কিসের আঘাতে জখম হয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (অপারেশন) হোসেন আলী রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, মারামারির ঘটনা ঘটেছে বলে জেনেছি। প্রথমে আদালত এলাকায়, পরে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে গেলে মারধর করা হয়েছে বলেও শুনেছি। আমরা দুই ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছি৷ তবে যাদেরকে মারধর করা হয়েছে তাদেরকে আমরা পাইনি। বুধবার রাত ১২টা পর্যন্ত কেউ অভিযোগ বা মামলা করেননি।
এএইচ