চুয়াডাঙ্গা সদরের হায়দারপুরে পূর্ব বিরোধের জেরে সাকিব (১৬) নামের এক স্কুলছাত্রকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখমের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমাবার (আগস্ট) বিকেলে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হায়দারপুর গ্রামের এই ঘটনা ঘটে।
সাকিব চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হায়দারপুরের মইনুল ইসলামের ছেলে। বর্তমানে সে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সীমান্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।
সাকিব মিয়া বলেন, সোমবার বিকেলে কৃষি কাজের জন্য মাঠে যাচ্ছিলাম। এ স্থানীয় ইউপি সদস্য আজিবার রহমান, তার ছেলে আলিফ, স্থানীয় রিহাদ ও হুসাইনসহ ১০-১৫ আমাকে ধাওয়া করে এলোপাতাড়ি রড লাঠি চা পাতি দিয়ে আঘাত করতে থাকে।
এক পর্যায়ে আমার চিৎকারে গ্রামের স্থানীয় লোকজন ছুটে আসলে তারা পালিয়ে যায়।
সাকিবের ভাই জামান রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, ৬/৭ বছর পূর্বে ইউপি সদস্য আজিবার রহমানের ফুফাতো ভাইয়ের ছেলের নামে একটি নারী কেলেঙ্কারি বিষয়ে মামলা দায়ের করেন ভুক্তোভোগী নারী। পরে বিষয়টি মিটেও যায়। সেই সময় আমরা গ্রাম্য সালিসে থাকাকালিন এখন তারা মনে করছেন মামলার পিছনে আমাদের হাত ছিল।
এছাড়া আমার পরিবারের একজন সদস্য রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ পর থেকে আমাদের উপর নির্যাতন শুরু হয়েছে। এই দুই কারণের জেরে আমার ছোট ভাইকে ইউপি সদস্য আজিবারের নেতৃত্বে মারধর ও কুপিয়ে জখম করা হয়েছে।
ইউপি সদস্য আজিবার রহমান বলেন, এ ঘটনার সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না। আমার ছেলে সেই সময় বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিল। তারা আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছেন।
তিনি আরও বলেন, গত সপ্তাহে বিরোধের জেরে সাকিব এলাকার কিছু ছেলেদের মারধরের জন্য ধাওয়া করে। সেই জেরেই সোমবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জেনেছি।
জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মেহবুবা মুস্তারি মৌ রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, ধারাল অস্ত্রের আঘাতে একটি হাতে জখম হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভর্তির পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (অপারেশন) হোসেম আলী রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, হায়দারপুরে একটি ঘটনা ঘটেছে বলে জেনেছি। তারা থানায় এসেছিলেন। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে আসার জন্য বলা হয়েছে।
এএইচ