চুয়াডাঙ্গায় ২০১৮ সালে চাঁদাবাজি, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নঈম হাসান জোয়ার্দ্দারসহ মোট ৬৩ জনের নামে মামলা হয়েছে।
শনিবার (২৪ আগস্ট) চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় হাজির হয়ে পৌর এলাকার আরামপাড়ার হান্নানের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মাহাবুব বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
সদর থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৭ নভেম্বর বেলা ১১টার দিকে নঈমসহ ৬৩ জনের একটি দল আরামপাড়ায় মাহাবুবের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে না পারায় ওই দিন বিকেলে পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্রসহ বাড়ির ভেতর প্রবেশ করে এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। এ সময় মাহাবুবকে জিম্মি করে একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে নিয়ে যায়।
এছাড়াও হামলাকারীরা ঘর থেকে ৪ ভরি স্বর্ণের গহনা ও নগদ সাড়ে ৩ লাখ টাকা নিয়ে নেয়। পরে মাহবুব বাড়ির পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যেতে চাইলে হামলাকারীরা একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তাকে হত্য করার চেষ্টা করে। এসময় মাহাবুক কৌশলে পালিয়ে তার জীবন রক্ষা করেন।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী আব্দুল্লাহ আল মাহাবুব জানান, ২০১৮ সালে ঘটনার পরের দিন সদর থানায় অভিযোগ করতে যান তিনি। সে সময় সদর থানার দায়িত্বরত অফিসার ইনচার্জ তার মামলা না নিয়ে উল্টো তাকেই দুই দিন থানা হাজতে আটকে রাখেন। পরে জামিনে থাকা পুরোনো একটি মামলায় তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। সে সময় কোর্টে মাহাবুবের আইনজীবী ওই মামলায় জামিনে থাকার প্রমাণ দেখালে তাকে ছেড়ে দেন আদালত।
এ বিষয়ে সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ এসেছে। তবে মামলাটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সুত্র – দৈনিক সময়ের সমীকরণ
এএইচ