১১:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় সাপের কামড়ে মায়ের মৃত্যু, কাঁদছে দুধের শিশু সামিউল

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দোস্ত গ্রামে সাপের কামড়ে সালমা খাতুন (১৮) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (১৮ আগস্ট) রাত পৌনে ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যান তিনি।

নিহত সালমা খাতুন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নবগঠিত নেহালপুর ইউনিয়নের দোস্ত গ্রামের মসজিদপাড়ার আব্দুল হান্নানের মেয়ে। স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর শিশু সন্তান সামিউল ইসলামকে নিয়ে সালমা খাতুন তার বাবার বাড়িতেই থাকতেন। সামিউলের বয়স এখন দেড় বছর। মাকে না পেয়ে কাঁদছে দুধের শিশু সামিউল ইসলাম।

পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, রোববার সন্ধার পর শৌচাগার যান সালমা খাতুন। এসময় শৌচাগারের পাশে থাকা একটি বিষধর সাপ কামড় দেয় সালমাকে। পরে পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় ওঝার (কবিরাজ) নিকট নেন। পরে সালমা খাতুনের শারীরিক অবনতি হলে নেয়া হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। সেখানে শরীরে সাপের অ্যান্টিভেনম পুশ করা হয়। রাত পৌনে ১০টার দিকে চিকিৎসারত অবস্থায় সালমা খাতুনের মৃত্যু হয়।

সালমা খাতুনের দুলাভাই ইসমাইল হোসেন রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, দুধের শিশু রেখে সালমা খাতুনের মৃত্যু মেনে নেয়ার মত না। মাকে না পেয়ে শিশু সামিউল কাঁদছে। আজ সোমবার সকালে গ্রাম পৈতৃক গ্রামে জানাযার নামায শেষে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর পরিবারের সদস্যরা সালমা খাতুনকে স্থানীয় ওঝার নিকট নিয়ে যান। যদি তাৎক্ষনিভাবে হাসপাতালে নিয়ে আসা যেত তাহলে হয়তো বেঁচে যেতো।

সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. হাসানুজ্জামান রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, অ্যান্টিভেনম পুশ করা হলে সালমাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে নিয়ে আসতে দেরি করে ফেলেছিলেন।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

জনপ্রিয়

ফের বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন সিদ্দিকের প্রাক্তন স্ত্রী

চুয়াডাঙ্গায় সাপের কামড়ে মায়ের মৃত্যু, কাঁদছে দুধের শিশু সামিউল

প্রকাশের সময় : ০৪:০০:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৪

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দোস্ত গ্রামে সাপের কামড়ে সালমা খাতুন (১৮) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (১৮ আগস্ট) রাত পৌনে ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যান তিনি।

নিহত সালমা খাতুন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নবগঠিত নেহালপুর ইউনিয়নের দোস্ত গ্রামের মসজিদপাড়ার আব্দুল হান্নানের মেয়ে। স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর শিশু সন্তান সামিউল ইসলামকে নিয়ে সালমা খাতুন তার বাবার বাড়িতেই থাকতেন। সামিউলের বয়স এখন দেড় বছর। মাকে না পেয়ে কাঁদছে দুধের শিশু সামিউল ইসলাম।

পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, রোববার সন্ধার পর শৌচাগার যান সালমা খাতুন। এসময় শৌচাগারের পাশে থাকা একটি বিষধর সাপ কামড় দেয় সালমাকে। পরে পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় ওঝার (কবিরাজ) নিকট নেন। পরে সালমা খাতুনের শারীরিক অবনতি হলে নেয়া হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। সেখানে শরীরে সাপের অ্যান্টিভেনম পুশ করা হয়। রাত পৌনে ১০টার দিকে চিকিৎসারত অবস্থায় সালমা খাতুনের মৃত্যু হয়।

সালমা খাতুনের দুলাভাই ইসমাইল হোসেন রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, দুধের শিশু রেখে সালমা খাতুনের মৃত্যু মেনে নেয়ার মত না। মাকে না পেয়ে শিশু সামিউল কাঁদছে। আজ সোমবার সকালে গ্রাম পৈতৃক গ্রামে জানাযার নামায শেষে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর পরিবারের সদস্যরা সালমা খাতুনকে স্থানীয় ওঝার নিকট নিয়ে যান। যদি তাৎক্ষনিভাবে হাসপাতালে নিয়ে আসা যেত তাহলে হয়তো বেঁচে যেতো।

সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. হাসানুজ্জামান রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, অ্যান্টিভেনম পুশ করা হলে সালমাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে নিয়ে আসতে দেরি করে ফেলেছিলেন।