চুয়াডাঙ্গার এক সময়ের আতঙ্কের নাম নুরুজ্জামান লাল্টুর বিরুদ্ধে আবারও দোকান ভাংচুরসহ লুটপাটের ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা সদর থানা ও আলমডাঙ্গা দুটি পৃথক মামলা দায়ের হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন আলমডাঙ্গা উপজেলার
গোপিনাথপুর গ্রামের আব্দুল্লাহ আল ফারুক। রাতেই আলমডাঙ্গা থানায় আরেকটি মামলা দায়ের প্রক্রিয়া চলমান ছিলো বলে জানা গেছে।
এদিকে শুক্রবার দুপুরেই লাল্টুকে সেনাবাহিনী আটক করে বলেও বিশ্বস্থ সূত্রে খবর পাওয়া যায়। রাতেই তাকে আলমডাঙ্গা থানায় সোর্পদ করেছে বলে জানা গেছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এজাহার সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ভালাইপুর বাজারের রাজিব বস্ত্রলায়ের মালিক আব্দুল্লাহ আল ফারুক গত ৫ আগস্ট রাত ৮ টার দিকে দোকান বন্ধ করে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। পথের মধ্যে নরুজ্জামান লাল্টুসহ আরও কয়েকজন দেশীয় অস্ত্রসহ লাঠিসোটা নিয়ে আব্দুল্লাহ আল ফারুকের উপর হামলা করেন। এ সময় ফারুক দৌড়ে পালিয়ে যান।
পরে লাল্টুসহ তার লোকজন ভালাইপুর মোড়ে ফারুকের দোকানে হামলা চালিয়ে নগদ টাকাসহ মালামাল লুট করে পালিয়ে যায়।
ফারুক তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, লাল্টু ও তার লোকজন দোকান ভেঙ্গে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা লুট করা
নিয়ে যায়। একই সাথে দোকানে থানা ২২ লাখ টাকার মালামালে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেয়।
তবে এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা পুলিশের কেউ বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
শুক্রবার রাতে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজিম উদ্দীন আল আজাদ সময়ের সমীকরণকে বলেন, লাল্টুকে সেনাবাহিনী আটক করেছে। তারা আমাদের সাথে যোগাযোগ করেছে। আলমডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। তবে সেনাবাহিনী রাতেই তাকে আলমডাঙ্গা থানায় সোর্পদ করবে। এছাড়াও, শুক্রবার
রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় তার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
সুত্র : দৈনিক সময়ের সমীকরণ
এএইচ