০৭:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আলমডাঙ্গায় জমিজমা নিয়ে বিরোধ

ভিডিও : ‘পুলিশ কেন আসলো’ বলেই নারীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগ

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে রেশমা খাতুন (৪০) নামে এক নারীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। আহত এই নারীকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলার আইলহাস ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামের এ ঘটনা ঘটে।

আহত রেশমা খাতুন একই গ্রামের রতন মন্ডলের স্ত্রী।

রেশমা খাতুনের মেয়ে পিয়া খাতুন রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, আমার দাদার সম্পত্তি নিয়ে চাচা ও চাচাতো ভাইদের সঙ্গে আমাদের বিরোধ চলে আসছিল।

জমিজমা মাপযোগ না করেই ছোট চাচি ফাহিমা জোরপূর্বক নির্মাণ কাজ শুরু করেন। বাবা অসুস্থ থাকায় এ বিষয়ে মা নিজেই গত পরশু আলমডাঙ্গা থানায় একটি অভিযোগ করেন। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে উভয়পক্ষকে বসে মিমাংশার জন্য বলেন।

বৃহস্পতিবার সকালে আমার মা মধুপুর গ্রামে গেলে মায়ের চাচা শ্বশুর ওহি উদ্দিন, আমার চাচাতো ভাই আশিক, শাহেদ, ছোট চাচি ফাহিমাসহ কয়েকজন হামলা করে। পুলিশের কাছে কেন অভিযোগ করা হলো, ‘পুলিশ আসল কেন’ বলেই মাকে মাটিতে ফেলে সারা শরীরে কিল-ঘুষি, লাথি মারতে থাকে তারা। এমনকি স্পর্শকাতরস্থান অর্থাৎ বুক, যৌনাঙ্গেও লাথি মারে তারা।

এক পর্যায়ে মায়ের পেট ফুলে যায় এবং যৌনাঙ্গে লাথি মারা হলে সেখান থেকে রক্তক্ষরণ হয়। মা অচেতন হয়ে পড়লে তারা প্রায় ২ ঘন্টা যাবত মাটিতে ফেলে রাখে। জ্ঞান ফিরলে পানি চাইলেও তারা পানি পর্যন্ত দেয়নি। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে মাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করি।

তিনি রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে আরও বলেন, আমার মা ব্যাথায় উঠতে পারছেন না। হাসপাতালে মায়ের কাছে আছি। এ জন্য আজ অভিযোগ না মামলা করতে পারেনি। আগামীকাল শুক্রবার আলমডাঙ্গা থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা বা অভিযোগ করব।

এদিকে, ডিউটি শেষ হওয়ায় ওই সময় সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যিনি কর্তব্যরত চিকিৎসক ছিলেন তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে জানতে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) শেখ গণি মিয়া রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, এই বিষয়টি আমার জানা নেই৷ অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে৷

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

জনপ্রিয়

দর্শনা থানা পুলিশের অভিযানে ৬ কেজি গাজাসহ দুজন আটক

আলমডাঙ্গায় জমিজমা নিয়ে বিরোধ

ভিডিও : ‘পুলিশ কেন আসলো’ বলেই নারীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ১২:৪০:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ অগাস্ট ২০২৪

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে রেশমা খাতুন (৪০) নামে এক নারীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। আহত এই নারীকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলার আইলহাস ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামের এ ঘটনা ঘটে।

আহত রেশমা খাতুন একই গ্রামের রতন মন্ডলের স্ত্রী।

রেশমা খাতুনের মেয়ে পিয়া খাতুন রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, আমার দাদার সম্পত্তি নিয়ে চাচা ও চাচাতো ভাইদের সঙ্গে আমাদের বিরোধ চলে আসছিল।

জমিজমা মাপযোগ না করেই ছোট চাচি ফাহিমা জোরপূর্বক নির্মাণ কাজ শুরু করেন। বাবা অসুস্থ থাকায় এ বিষয়ে মা নিজেই গত পরশু আলমডাঙ্গা থানায় একটি অভিযোগ করেন। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে উভয়পক্ষকে বসে মিমাংশার জন্য বলেন।

বৃহস্পতিবার সকালে আমার মা মধুপুর গ্রামে গেলে মায়ের চাচা শ্বশুর ওহি উদ্দিন, আমার চাচাতো ভাই আশিক, শাহেদ, ছোট চাচি ফাহিমাসহ কয়েকজন হামলা করে। পুলিশের কাছে কেন অভিযোগ করা হলো, ‘পুলিশ আসল কেন’ বলেই মাকে মাটিতে ফেলে সারা শরীরে কিল-ঘুষি, লাথি মারতে থাকে তারা। এমনকি স্পর্শকাতরস্থান অর্থাৎ বুক, যৌনাঙ্গেও লাথি মারে তারা।

এক পর্যায়ে মায়ের পেট ফুলে যায় এবং যৌনাঙ্গে লাথি মারা হলে সেখান থেকে রক্তক্ষরণ হয়। মা অচেতন হয়ে পড়লে তারা প্রায় ২ ঘন্টা যাবত মাটিতে ফেলে রাখে। জ্ঞান ফিরলে পানি চাইলেও তারা পানি পর্যন্ত দেয়নি। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে মাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করি।

তিনি রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে আরও বলেন, আমার মা ব্যাথায় উঠতে পারছেন না। হাসপাতালে মায়ের কাছে আছি। এ জন্য আজ অভিযোগ না মামলা করতে পারেনি। আগামীকাল শুক্রবার আলমডাঙ্গা থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা বা অভিযোগ করব।

এদিকে, ডিউটি শেষ হওয়ায় ওই সময় সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যিনি কর্তব্যরত চিকিৎসক ছিলেন তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে জানতে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) শেখ গণি মিয়া রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, এই বিষয়টি আমার জানা নেই৷ অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে৷