০৯:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খাজা টাওয়ারে ডাটা সেন্টারের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি: মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন

মহাখালীর খাজা টাওয়ারে ডেটা সেন্টারের কোনো ক্ষতি হয়নি বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।

আজ শনিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে মহাখালীর খাজা টাওয়ারে অবস্থিত ডেটা সেন্টার পরিদর্শনে যায় বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের একটি প্রতিনিধি দল। পরে সাংবাদিকদের এ কথা জানান সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ।

মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি, বিটিআরসি এবং খাত সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা ইন্টারনেটের নিরাপত্তা ও গুজব প্রতিরোধে ব্যর্থতার দায় খাজা টাওয়ারের ডেটা সেন্টারের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে। প্রতিনিধি দল পরিদর্শন করে এবং ভবনের অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, এখানে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। একটি বিষয় পরিষ্কার করে বলা দরকার, ডেটা সেন্টার হলো কেবলমাত্র সার্ভার সংরক্ষণাগার অর্থাৎ এক প্রকার লকার।’

মহিউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ‘টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেছিলেন, গুজব প্রতিরোধে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করা হয়েছে। পরবর্তীতে প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, বিভিন্ন স্থানে ফাইবার কাটা এবং ডেটা সেন্টারে সন্ত্রাসী হামলার কারণে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রয়েছে। আমাদের জানামতে বিশ্বে একটানা সাত দিন ইন্টারনেট বন্ধ থাকা নজিরবিহীন। এমনকি যুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজা ও ইউক্রেনে ইন্টারনেট সেবা এত দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকেনি।’

পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন—সংগঠনের সহসভাপতি লায়ন শ্যামল হাজরা, মহাসচিব অ্যাডভোকেট আবু বকর সিদ্দিক, নির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান শাশ্বত মনির, কেন্দ্রীয় সদস্য প্রকৌশলী আবু সালেহ প্রমুখ।

তাঁরা বলেন, ‘ইন্টারনেট বন্ধের বিষয়টি সারা বিশ্বে আমাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। ইন্টারনেট বন্ধ থাকার কারণে আমরা শুধু গ্রাহক হিসেবেই ক্ষতিগ্রস্ত হইনি, সফটওয়্যার, আউটসোর্সিং, মোবাইল ব্যাংকিং, টেলিকম অপারেটর, আইএসপি, ইলেকট্রিক ইলেকট্রনিকস, প্রিন্ট মিডিয়া, অনলাইন, আইআইজি, এনটিটিএন, টাওয়ারকো, হ্যান্ডসেট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান অর্থাৎ ডিজিটাল সেবার সঙ্গে যুক্ত সকল প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি বিশেষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইন্টারনেট বন্ধ করার যৌক্তিকতা এবং কারণ উদ্ঘাটনে প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের সহায়তায় দেশের প্রযুক্তি ও টেলিযোগাযোগ খাতের বিশেষজ্ঞ ও স্টেক হোল্ডার, গণমাধ্যম ও গ্রাহকদের প্রতিনিধি সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করা জরুরি।’

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

জনপ্রিয়

নারী সংস্কার কমিশন বাতিলের দাবিতে চুয়াডাঙ্গায় হেফাজতের বিক্ষোভ সমাবেশ

খাজা টাওয়ারে ডাটা সেন্টারের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি: মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন

প্রকাশের সময় : ০৮:০৩:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

মহাখালীর খাজা টাওয়ারে ডেটা সেন্টারের কোনো ক্ষতি হয়নি বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।

আজ শনিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে মহাখালীর খাজা টাওয়ারে অবস্থিত ডেটা সেন্টার পরিদর্শনে যায় বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের একটি প্রতিনিধি দল। পরে সাংবাদিকদের এ কথা জানান সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ।

মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি, বিটিআরসি এবং খাত সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা ইন্টারনেটের নিরাপত্তা ও গুজব প্রতিরোধে ব্যর্থতার দায় খাজা টাওয়ারের ডেটা সেন্টারের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে। প্রতিনিধি দল পরিদর্শন করে এবং ভবনের অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, এখানে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। একটি বিষয় পরিষ্কার করে বলা দরকার, ডেটা সেন্টার হলো কেবলমাত্র সার্ভার সংরক্ষণাগার অর্থাৎ এক প্রকার লকার।’

মহিউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ‘টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেছিলেন, গুজব প্রতিরোধে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করা হয়েছে। পরবর্তীতে প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, বিভিন্ন স্থানে ফাইবার কাটা এবং ডেটা সেন্টারে সন্ত্রাসী হামলার কারণে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রয়েছে। আমাদের জানামতে বিশ্বে একটানা সাত দিন ইন্টারনেট বন্ধ থাকা নজিরবিহীন। এমনকি যুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজা ও ইউক্রেনে ইন্টারনেট সেবা এত দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকেনি।’

পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন—সংগঠনের সহসভাপতি লায়ন শ্যামল হাজরা, মহাসচিব অ্যাডভোকেট আবু বকর সিদ্দিক, নির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান শাশ্বত মনির, কেন্দ্রীয় সদস্য প্রকৌশলী আবু সালেহ প্রমুখ।

তাঁরা বলেন, ‘ইন্টারনেট বন্ধের বিষয়টি সারা বিশ্বে আমাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। ইন্টারনেট বন্ধ থাকার কারণে আমরা শুধু গ্রাহক হিসেবেই ক্ষতিগ্রস্ত হইনি, সফটওয়্যার, আউটসোর্সিং, মোবাইল ব্যাংকিং, টেলিকম অপারেটর, আইএসপি, ইলেকট্রিক ইলেকট্রনিকস, প্রিন্ট মিডিয়া, অনলাইন, আইআইজি, এনটিটিএন, টাওয়ারকো, হ্যান্ডসেট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান অর্থাৎ ডিজিটাল সেবার সঙ্গে যুক্ত সকল প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি বিশেষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইন্টারনেট বন্ধ করার যৌক্তিকতা এবং কারণ উদ্ঘাটনে প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের সহায়তায় দেশের প্রযুক্তি ও টেলিযোগাযোগ খাতের বিশেষজ্ঞ ও স্টেক হোল্ডার, গণমাধ্যম ও গ্রাহকদের প্রতিনিধি সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করা জরুরি।’