চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে গৃহবধূকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করেছে।
এর আগে শনিবার (১৩ জুলাই) রাতে জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের কয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
রোববার (১৪ জুলাই) ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে জীবননগর থানায় চারজনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা করেন। পরদিন সোমবার (১৫ জুলাই) সকালে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার দুই আসামীকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- কয়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে লাল্টু মল্লিক (৩০) ও একই গ্রামের মৃত গোপাল মন্ডলের ছেলে ইকরা হোসেন (৪৫)।
মামলার অন্য দুজন আসামি হলেন- কয়া গ্রামের নওশের আলীর ছেলে মো. খালিদ হোসেন (২২) ও মুসা আলীর ছেলে জব্বার হোসেন (১৮)। তারা দুজনই পলাতক রয়েছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, কয়া গ্রামের দুই সন্তানের জননী ওই গৃহবধূ গত শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বাড়ির পাশের টিউবওয়েলে পানি আনতে যান। এসময় একই গ্রামের লাল্টু মল্লিক, খালিদ হোসেন, জব্বার হোসেন ও ইকরা হোসেন তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে একটি পেয়ারা বাগানে গিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের পর তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে বলেন, যেন ধর্ষণের ঘটনা কাউকে না বলে। তবে ওই গৃহবধূ রোববার ওই চারজনের নামে নিজে বাদী হয়ে জীবননগর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা করেন।
জীবননগর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) এস এম জাবীদ হাসান রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় ওই নারী বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। আমরা এজাহারনামীয় দুই আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছি। বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এএইচ