চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ বাজারে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এসময় অসুস্থ গাভী জবাই করে মাংস বিক্রির অপরাধে এক কশাইকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া প্রায় দুই মণের বেশি অস্বাস্থ্যকর মাংস জব্দের পর নষ্ট করা হয়।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!সোমবার (১ জুলাই) চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ বাজারে এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চুয়াডাঙ্গা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ।

অভিযান সুত্রে জানা যায়, অসুস্থ গরু জবাই করে মাংস বিক্রি করা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদ পেয়ে ডিঙ্গেদহ বাজারে অভিযান চালানো হয়। এসময় ডালিম মিয়া নামের একজন কসাই দৌড়ে পালিয়ে যান। তবে তার সঙ্গে থাকা অপর দুই কসাই খোকন মিয়া ও সুজন মিয়াকে মাংস বিক্রি করতে দেখা যায়।

জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, সকালে তারা একটি ভালো ষাঁড় জবাই করে সব মাংস বিক্রি করেন। পরে মাথা ও অন্যান্য অংশ অসুস্থ গরুর মাংসের সঙ্গে মিশিয়ে বিক্রি করছিলেন। এ অপরাধে বাজার কমিটির মাধ্যমে কসাই ডালিমকে হাজির করে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একইসঙ্গে দুই মণের বেশি অস্বাস্থ্যকর মাংস জব্দ করে জনসম্মুখে মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়।

সহকারি পরিচালক সজল আহম্মেদ বলেন, সকালে গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারি, ডিঙ্গেদহ বাজারে কিছু অসাধু কসাই একটি অসুস্থ গরু বাইরে থেকে জবাই করে এনে মাংস বিক্রি করছেন। এমন সংবাদের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. মোস্তাফিজুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডিঙ্গেদহ বাজারে অভিযান পরিচালনা করে প্রমাণ পাওয়া যায়। এই অসুস্থ গাভির মাংসের সঙ্গে রেখে উচ্চ মূল্যে এঁড়ে গরুর মাংস বলে বিক্রি করছিলেন। পূর্বেও তারা এ ধরনের কার্যকলাপ করেছেন। মানুষের খাদ্যদ্রব্যের সঙ্গে প্রতারণা মেনে নেওয়ার মতো না।
এএইচ