চুয়াডাঙ্গা সদরের গাইটঘাটে ট্রেনের সঙ্গে ইঞ্জিনচালিত অবৈধ যান আলমসাধুর মুখোমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আলমসাধু চালক ইসরাফিল হোসেন (৪০) মারাত্মক আহত হয়েছে।
পরে স্থানীয়রা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
আজ শুক্রবার (২৭ জুন) সকাল অনুমানিক সোয়া ১০ টার দিকে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটিগামী আন্তঃনগর রুপসা এক্সপ্রেস ট্রেনে এদূর্ঘটনা ঘটে।
চুয়াডাঙ্গা স্টেশন মাস্টার মিজানুর রহমান রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আহত ইসরাফিল হোসেন চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার জেহালা ইউনিয়নের মাজহাট গ্রামের হেলাল উদ্দিনের ছেলে।

স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার সকালে ড্রাগন ফল বোঝাই একটি আলমসাধু গাইটঘাট গ্রামের অরক্ষিত রেললাইন পার হচ্ছিল। এসময় এই লাইনে দিয়ে রুপসা এক্সপ্রেস ট্রেন আসছিল। পরে কিছু বোঝার আগেই ট্রেনের ইঞ্জিনের সঙ্গে আলমসাধুর সংঘর্ষ হয়। আলমসাধু ছিটকে রেললাইনের একপাশে পড়ে। এতে আলমসাধু চালক ইসরাফিল হোসেন গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জোবায়দা জামান জয়া রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, মাথাসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন তিনি৷ প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভর্তি করা হয়েছে এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা স্টেশন মাস্টার মিজানুর রহমান রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, রুপসা এক্সপ্রেস ট্রেনের সঙ্গে ড্রাগন বোঝায় একটি আলমসাধুর সংঘর্ষ হয়েছে বলে শুনেছি। তবে কেউ হতাহত হয়েছে কিনা এটা নিশ্চিত নয়।
এএইচ