০৭:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় অ্যানেস্থেসিয়া চিকিৎসক ছাড়াই অস্ত্রোপচারের অভিযোগ, প্রসূতির মৃত্যু

গতকাল শনিবার (৮ জুন) সকাল ১০ টার দিকে এ. আর হাসপাতালে এঘটনা ঘটে। মৃত রুপালী খাতুন চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা গ্রামের ফরজ আলীর স্ত্রী।

এদিকে, চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হলে রুপালী খাতুনের মরদেহের ময়নাতদন্ত করতে হবে, এই ঝামেলা পোহাতে হতে পারে বলে রোগীর স্বজনরা কোন অভিযোগ করতে নারাজ। তবে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, রোগীর স্বজনরা অভিযোগ না করলেও যদি গাফলতি কিংবা অনিয়ম পাওয়া যায় তাহলে ওই প্রতিষ্ঠান বা সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

অপর দিকে রুপালী খাতুনের মৃত্যুর পর গুঞ্জন উঠে এই অস্ত্রোপচার করেছেন কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন।

এই বিষয়ে ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলে রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, এই অস্ত্রোপচার আমি করিনি। উনি (ডা. রফি উদ্দিন রফিক) কোন সার্জন চিকিৎসক নয়। তিনি অ্যানেস্থেসিয়া চিকিৎসক ছাড়াই রোগীদের অস্ত্রোপচার করেন বলে জেনেছি। এছাড়াও ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে যে, আমার নাম করে তিনি অস্ত্রোপচার করেন। এক কথায় চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল মামুন সেজে তিনি নিজেই রোগীদের অস্ত্রোপচার করেন বলে অভিযোগ আছে। এতে আমার মান ক্ষুন্ন হচ্ছে। এ জন্য আমি ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করব।

তিনি আরও বলেন, যে প্রসূতি মারা গেছেন ওই রোগীর তৃতীয় সিজার ছিল। আর তৃতীয় সিজারের জন্য অবশ্যই একজন সার্জন থাকতে হবে। তিনি একাই অস্ত্রোপচার করেছেন, এতো দুঃসাহস কিভাবে হয় তার। গাফলতির কারণেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করি।

এদিকে, ডা. রফি উদ্দিন রফিকের নাম্বারে একাধিক কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।

প্রসূতির এক স্বজন রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, অভিযোগ করে কি হবে? আমরা কি তাকে ফিরে পাব? অভিযোগ করলে মরদেহের ময়নাতদন্ত করতে হবে। আমরা চাইনা লাশ কাটাকাটি হোক। গতকাল শনিবার রাতেই দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাৎ হাসানের সরকারি নাম্বারে একাধিকবার কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

জনপ্রিয়

ঢাকায় ডুসাকের শিক্ষাবৃত্তি ও নবীনবরণ অনুষ্ঠান: চুয়াডাঙ্গার ৭০ শিক্ষার্থী পেলেন মেধাবৃত্তি

চুয়াডাঙ্গায় অ্যানেস্থেসিয়া চিকিৎসক ছাড়াই অস্ত্রোপচারের অভিযোগ, প্রসূতির মৃত্যু

প্রকাশের সময় : ১১:৩১:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ জুন ২০২৪

গতকাল শনিবার (৮ জুন) সকাল ১০ টার দিকে এ. আর হাসপাতালে এঘটনা ঘটে। মৃত রুপালী খাতুন চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা গ্রামের ফরজ আলীর স্ত্রী।

এদিকে, চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হলে রুপালী খাতুনের মরদেহের ময়নাতদন্ত করতে হবে, এই ঝামেলা পোহাতে হতে পারে বলে রোগীর স্বজনরা কোন অভিযোগ করতে নারাজ। তবে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, রোগীর স্বজনরা অভিযোগ না করলেও যদি গাফলতি কিংবা অনিয়ম পাওয়া যায় তাহলে ওই প্রতিষ্ঠান বা সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

অপর দিকে রুপালী খাতুনের মৃত্যুর পর গুঞ্জন উঠে এই অস্ত্রোপচার করেছেন কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন।

এই বিষয়ে ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলে রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, এই অস্ত্রোপচার আমি করিনি। উনি (ডা. রফি উদ্দিন রফিক) কোন সার্জন চিকিৎসক নয়। তিনি অ্যানেস্থেসিয়া চিকিৎসক ছাড়াই রোগীদের অস্ত্রোপচার করেন বলে জেনেছি। এছাড়াও ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে যে, আমার নাম করে তিনি অস্ত্রোপচার করেন। এক কথায় চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল মামুন সেজে তিনি নিজেই রোগীদের অস্ত্রোপচার করেন বলে অভিযোগ আছে। এতে আমার মান ক্ষুন্ন হচ্ছে। এ জন্য আমি ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করব।

তিনি আরও বলেন, যে প্রসূতি মারা গেছেন ওই রোগীর তৃতীয় সিজার ছিল। আর তৃতীয় সিজারের জন্য অবশ্যই একজন সার্জন থাকতে হবে। তিনি একাই অস্ত্রোপচার করেছেন, এতো দুঃসাহস কিভাবে হয় তার। গাফলতির কারণেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করি।

এদিকে, ডা. রফি উদ্দিন রফিকের নাম্বারে একাধিক কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।

প্রসূতির এক স্বজন রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, অভিযোগ করে কি হবে? আমরা কি তাকে ফিরে পাব? অভিযোগ করলে মরদেহের ময়নাতদন্ত করতে হবে। আমরা চাইনা লাশ কাটাকাটি হোক। গতকাল শনিবার রাতেই দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাৎ হাসানের সরকারি নাম্বারে একাধিকবার কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।