চুয়াডাঙ্গায় আবারো তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে হয়েছে। মাঝারি এ তাপপ্রবাহে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে চুয়াডাঙ্গার মানুষের জনজীবন।
শুক্রবার (৭ জুন) বেলা ৩ টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪৯ শতাংশ।
এর আগের দিন বৃহস্পতিবার ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি বুধবার ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিলো। যা গত ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে তাপমাত্রা বেড়েছে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে, জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি তাপপ্রবাহ আরও কিছু দিন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়ে চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান রেডিও চুয়াডাঙ্গা বলেন, আগামী শুক্রবার পর্যন্ত অর্থাৎ এক সপ্তাহ তাপপ্রবাহ থাকতে পারে। তবে বর্তমান যে তাপমাত্রা রয়েছে এর থেকে কিছুটা বাড়তে বা কমতে পারে।
এদিকে তীব্র গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে চুয়াডাঙ্গার জনজীবন। সব থেকে বেশি কষ্ট পাচ্ছে শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা। গরমে এসি ও ফ্যানের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় বেড়েছে বিদ্যুতের ব্যবহারও। ফলে বেড়েছে লোডশেডিং। দিনে বাসায় থাকা দায় হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রাতে মশার যন্ত্রণা। গরমের সঙ্গে ঘন ঘন লোডশেডিং হওয়ায় সারা রাত নির্ঘুম কাটাতে হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা শহরে একজন ঝালমুড়ি বিক্রেতা রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, ভ্যানে করে শহরে ঝালমুড়ি বিক্রি করে সংসার চালায়। গত ৩-৪ দিন ধরে গরম পড়ছে। বেচাকেনা কম।
সদরের দীননাথপুর গ্রামের সজিব উদ্দিন রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে ঘরে থাকা কষ্টকর হয়ে পড়ছে। বাড়িতে শিশুরা গরমে অস্থির হয়ে পড়ছে। বাইরে বের হলে মনে হচ্ছে রোদের তাপে শরীর পুড়ে যাচ্ছে। তার ওপর রাতের লোডশেডিংয়ে দুর্ভোগ আরও বেড়ে গেছে।
এএইচ