০৭:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আগুনে সব শেষ আমাদের, এক বেলার খাবারও নেই

চিৎলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান সরোয়ার রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনা পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছি। বৈদ্যুতিক মিটারের শর্টসার্কিট থেকে এই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করছি। বাবা-ছেলেসহ মোট ৯ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে আটটি বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তারা অত্যন্ত গরিব। একমাত্র পরনের পোষাক ছাড়া কিছুই নেই তাদের। এমনকি তারা রান্নাবান্না করে খাবে সেই পরিস্থিতিও নেই। আজকের মধ্যেই তাদেরকে সহযোগিতা করা হবে।

ক্ষতিগ্রস্তরা রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, মুহূর্তেই আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে। চোখের সামনে একে একে ৮টি বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আমাদের কিছুই আর নেই। কেউ চাল-ডাল দিলেও রান্না করার সরঞ্জাম টুকুও নেই।

প্রবাসী শাহীনের স্ত্রী মুসলিমা খাতুন রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, আমার নগদ টাকাসহ সব কিছুই পুড়ে শেষ হয়ে গেছে। মুহূর্তেই আমাদের সব শেষ হয়ে গেল। এখন আমরা কোথায় থাকব, কী খাব বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি।

স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য ইনতাজুল হক রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, ৮টি বাড়ির কোনো অস্তিত্ব নেই। নগদ টাকাসহ আসবাবপত্রসহ সব পুড়ে গেছে। এক বেলার খাবারও নেই তাদের।

এ বিষয়ে জানতে আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স্নিগ্ধ দাসের মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

জনপ্রিয়

দর্শনা থানা পুলিশের অভিযানে ৬ কেজি গাজাসহ দুজন আটক

আগুনে সব শেষ আমাদের, এক বেলার খাবারও নেই

প্রকাশের সময় : ০৭:৩৩:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪

চিৎলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান সরোয়ার রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনা পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছি। বৈদ্যুতিক মিটারের শর্টসার্কিট থেকে এই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করছি। বাবা-ছেলেসহ মোট ৯ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে আটটি বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তারা অত্যন্ত গরিব। একমাত্র পরনের পোষাক ছাড়া কিছুই নেই তাদের। এমনকি তারা রান্নাবান্না করে খাবে সেই পরিস্থিতিও নেই। আজকের মধ্যেই তাদেরকে সহযোগিতা করা হবে।

ক্ষতিগ্রস্তরা রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, মুহূর্তেই আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে। চোখের সামনে একে একে ৮টি বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আমাদের কিছুই আর নেই। কেউ চাল-ডাল দিলেও রান্না করার সরঞ্জাম টুকুও নেই।

প্রবাসী শাহীনের স্ত্রী মুসলিমা খাতুন রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, আমার নগদ টাকাসহ সব কিছুই পুড়ে শেষ হয়ে গেছে। মুহূর্তেই আমাদের সব শেষ হয়ে গেল। এখন আমরা কোথায় থাকব, কী খাব বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি।

স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য ইনতাজুল হক রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, ৮টি বাড়ির কোনো অস্তিত্ব নেই। নগদ টাকাসহ আসবাবপত্রসহ সব পুড়ে গেছে। এক বেলার খাবারও নেই তাদের।

এ বিষয়ে জানতে আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স্নিগ্ধ দাসের মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।