রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে পাথর মেরে বর্বরোচিত হত্যার ঘটনায় চুয়াডাঙ্গায় প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বিপ্লবী ছাত্রসমাজ।
শনিবার (১২ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সামনে এই প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ শেষে শিক্ষার্থীরা জানান, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে তারা সব সময় সোচ্চার থাকবেন।

প্রতিবাদ সমাবেশে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সাবেক সদস্য সচিব সাফফাতুল ইসলাম বলেন, কোন এক শকুনের দল যেন বাংলাদেশের পতাকা যেন পূণরায় খামছে ধরেছে। আপনারা দেখেছেন মিডফোর্ডের সামনে সোহাগ নামের একজনকে পাথর মেরে কতটা নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই পাথরের ভার শুধু যে সোহাগ ভাইয়ের বুকে কিন্তু না, এই পাথরের ভার আজকে বাংলাদেশের প্রত্যেকটা ছাত্রসমাজ নিজেদের বুকে তুলে নিয়েছে। খুনির কোন দলীয় পরিচয় থাকতে পারেনা। কোন নির্দিষ্ট দলের খুনি থাকতে পারেনা। খুনির পরিচয় একমাত্র তিনি খুনি।
তিনি আরও বলেন, কোন রাজনৈতিক দল, কোন রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়াই যদি কেউ খুন,গুম,ধর্ষণ করে শুধু মাত্র বহিস্কার হয়ে ওই রাজনৈতিক দল দ্বায় এড়ানোর চেষ্টা করে, তবে বাংলাদেশের জনগন আপামোর ছাত্রজনতা কখনোই সেটা মেনে নেবেনা। ওই রাজনৈতিক দলকে এই হত্যার দ্বায় অবশ্যই নিতে হবে। আমরা এই সরকারের প্রতি অনেক আস্থাশীল ছিলাম, আমরা ধৈয্যশীল ছিলাম, আমাদের অনেক চাপা ছিল। আমরা এখনো বলতে চাই, আপনারা অতিদ্রুত এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার করুন। প্রয়োজনের ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দুই মাসের মধ্যে শাস্তির ব্যবস্থা করুন। ফাসি দিন, নতুবা বাংলাদেশের জনগন আপামর ছাত্রসমাজ যেভাবে আজ বাংলাদেশের ভার্সিটি থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে পড়েছে আপনারা এই গণজোয়ার ঠেকাতে পারবেন না। আমরা বিচার নিয়েই ঘরে ফিরব।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সাবেক সদস্য ছাব্বির হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি ১০ পার্সেন্ট থেকে শুরু করে তার অসংখ্য বদনাম। এখন চাদাবাজিদের তিনি যেভাবে আশ্রয় দিচ্ছেন আমি এখান থেকে স্পষ্ট বলতে চাই, যে আন্দোলন শুরু হয়েছে চারদিকে যে গণজোয়ার শুরু হয়েছে, আপনি লণ্ডনে বসে না থেকে আপনি দেশে আসেন। আপনার জানের যদি নিরাপত্তা না থাকে তাইলে আপনি বলেন রাজনীতি করবেন না। আপনার নাম ভাঙিয়ে এই রাজনীতি বন্ধ করুন। অবিলম্বে এই রাজনীতি বন্ধ করতে হবে আপনাকে। বর্তমান মবের নামে বিএনপি যেটা শুরু করেছে তার নাম না নিলেই নাই। তবে বিএনপি যেটা শুরু করেছে এটা আদর্শ কখনোই জিয়াউর রহমানের সাথে যায়না। আপনাদেরকে জিয়াউর রহমানের আদর্শে ফিরে আসতে হবে। বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে জিয়াউর রহমানের আদর্শে রাজনীতি করতে হবে। নতুবা আপনাদেরকে দরকার নাই। কোন নির্বাচন হতে পারেনা। আমার ভাইয়ের বিচার হয় নাই। আপনারা তারপরেই খুন-গুম শুরু করেছেন। পুরনো খুনেরই বিচার করতে পারেনি আপনি কিভাবে আমার ভাইয়ের বুকে পাথর মেরে হত্যা করেন।

প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষার্থী তাসলিম আল মাহমুদ, সাইফুল্লাহ সাদিক সৌরভ, মুশফিকুর রহমান, ফাহিম উদ্দীন মভিন, মাহাবুব ইসলাম আকাশ, আব্দুল্লাহ আল কাফি, ইব্রাহিম মাসুম, নাহিদ জাভেদ, ইউসুফ আল সাফিন, সালমান ফার্সি, মেজবাউর রহমান রনক, হিমেল, তৌফিক আহাম্মেদ, সোয়াদ, হাসনা জাহান খুশবু, আনিতা, তাসনিয়া আফসিন, নুসরাত জাহান মৌলি, আঞ্জুম হাবিবা প্রমূখ।
এএইচ
নিজস্ব প্রতিবেদক 






















