চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় দেশীয় পাখি শিকারের অভিযোগে আব্দুস ছালাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তিকে জরিমানা করেছে উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত৷ এ সময় তার নিকট থেকে দেশীয় তিলা জাতীয় ঘুঘু ও পাখি শিকারের ফাঁদ জব্দ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে অভিযুক্তের বাড়ি গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন দামুড়হুদা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে এইচ তাসফিকুর রহমান।
অভিযুক্ত আব্দুস ছালাম ওরদে পচা দামুড়হুদা উপজেলার চিৎলা গ্রামের স্কুলপাড়ার আব্দুস ছাত্তার মোল্লার ছেলে।

পরিবেশবাদী সংগঠন সুত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত কৌশলে দেশীয় পাখি শিকার করে আসছিলেন আব্দুস ছালাম। এমন সংবাদ চুয়াডাঙ্গার পরিবেশবাদী স্বেচ্ছাসেবী ‘মানবতার জন্য’ সংগঠনের কাছে আসলে তারা দামুড়হুদা উপজেলা বন কর্মকর্তা মো: মিজানুর রহমানকে অবহিত করেন। এরপরই বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানালে ঘটনাস্থলে উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) পাঠান।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সুত্রে আরও জানা যায়, অভিযুক্ত আব্দুস ছালামের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দেশীয় তিলা ঘুঘু ও পাখি শিকারের ফাঁদ পায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় অভিযুক্ত আব্দুস ছালাম ভ্রাম্যমাণ আদালতে পাখি শিকারের বিষয়টি স্বীকার করেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং কঠোরভাবে সতর্ক করেন। সেই সাথে দেশীয় তিলা ঘুঘু পাখি অবমুক্ত করা হয়।
মানবতার জন্য সংগঠনের সভাপতি ও বড় সলুয়া নিউ মডেল ডিগ্রি কলেজের প্রাণিবিদ্যার প্রভাষক মো: আহসান হাবীব বলেন, পাখি আমাদের কৃষকের বন্ধু ও প্রাকৃতিক কীটনাশক। আমাদের বিভিন্ন ফসলের পরাগায়নের মাধ্যমে ফুল হতে ফল হয়।আমাদের নিজেদের কথা ভেবেই আজ পাখি ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষন করতে হবে। আইনের প্রতি সম্মান ও পালন এবং প্রচারণা র মাধ্যমে আমরা পাখি ও বন্যপ্রাণী রক্ষা করতে পারবো। আমরা বিভিন্ন এলাকায় বন্যপ্রাণী শিকার, হত্যা,আটক, ক্রয়,বিক্রিয় বন্ধে এবং বন্যপ্রাণীর গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি ও লিফলেট বিতরণ করে আসছি।
এএইচ
নিজস্ব প্রতিবেদক 






















