দেশব্যাপী অব্যাহত ধর্ষণ ও নারী সহিংসতার দ্রুত শাস্তি নিশ্চিতের দাবিতে হুঁশিয়ারি কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের চুয়াডাঙ্গার শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২৬) বিকেলে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
হুঁশিয়ারি কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সদস্য সচিব সাফফাতুল ইসলাম বলেন, আমরা ধর্ষকদের হুঁশিয়ার করে বলতে চাই—আমাদের মা-বোনদের দিকে কুদৃষ্টিতে তাকালে সেই চোখ উপড়ে ফেলা হবে। যদি কেউ তাদের নির্যাতনের দুঃসাহস দেখায়, তবে তার কলিজা ছিঁড়ে চৌরাস্তার মোড়ে টাঙিয়ে দেওয়া হবে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার মুখ্য সচিব সজিবুল ইসলাম বলেন, তৎকালীন সরকার ফাঁসির আইন প্রণয়ন করলেও তা এখনো কার্যকর হয়নি কোনো ধর্ষককে ফাঁসি দেওয়া হয়নি বর্তমান সরকার যদি ফাঁসি রায় কার্যকর না করে তাহলে আরো একটি জুলাই অভ্যুত্থান ঘটতে পারে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার যুগ্ন আহ্বায়ক সিরাজুম মুনিরা, তিনি বলেন, আমরা কোনো দল বুঝিনি যারা সন্ত্রাসী তাদের প্রকাশ্যে নিয়ে এসে শাস্তি দেওয়া হোক যা দেখে অন্যদের বুক কেঁপে উঠবে আরো বলেন এই সমাজ থেকে যদি একটা কীটপতঙ্গ সরে যায় তাহলে দেশ বা সমাজের কোন ক্ষতি হবে না।
সাধারণ শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান রোজা বলেন, আমরা ধর্ষকদের ফাঁসি চাই ও ৫ ই আগস্টের বিপ্লবের পর স্বাধীন সর্বভৌমত্ব একটা দেশ চাই।

হুঁশিয়ারি কর্মসূচিতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সদস্যসচিব ফাহিম উদ্দিন মভিন, সাধারণ শিক্ষার্থী রেজাউল বাসার প্লাবন, জিহাদ হাসান চৌধুরী, মাহিন বিল্লাহ, মাহবুব ইসলাম আকাশ, সাইফুল্লাহ সাদিক সৌরভ,মাসুদ মৃধা, এম এ সাইফ, নুসরাত জাহান রোজা, তাসনিয়া আফসিন, সানজিদা তাবাসসুম মিথীন, তাসলিম আল মাহমুদ, আব্দুল্লাহ আল কাফি, হাফসা এ্যলিয়শা, মোহাম্মদ লাবিব মন্ডল, জান্নাতুল বাসার শ্রাবণ, জান্নাতুল মাওয়া চৈতি, উম্মে রিদিতা, মারওয়া মুমতাজ, তারমীম আকিদা আঞ্জুম হাবিবা, নুসরার আরা অরিন, ফয়সাল মাহমুদ রাফি, প্রমুখ।
এএইচ
অর্ণব আহমেদ আশিক 






















