ডাকাতদের কবলে পড়েছেন তরুণ ইসলামী বক্তা মুফতি আবিদ আল আহসান ও তাঁর গাড়িচালকসহ সফরসঙ্গীরা।
এ সময় ডাকাতদল তাঁদের ওপর হামলা চালিয়ে গাড়ি ভাঙচুর, মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা লুট করে নেয়। এ সময় বক্তাকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ পাওয়া যায়।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে হবিগঞ্জ সড়কের শিবপাশা ও বানিয়াচং এলাকার মাঝামাঝি স্থানে এ ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় বানিয়াচং থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন মুফতি আবিদ আল আহসান।
এ ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে মুফতি আবিদ আল আহসান বলেন, কিশোরগঞ্জ থেকে মাহফিল শেষে ফেরার পথে আনুমানিক রাত আড়াইটার দিকে মহাসড়কে হঠাৎ রাস্তায় ব্যারিকেড দেখতে পাই। কিছু বুঝে ওঠার আগেই প্রায় ১০-১৫ জনের ডাকাতদল লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার গাড়ির চারপাশ ঘিরে ফেলে এবং পেছনের গ্লাস ভেঙে ফেলেন তারা।
এরপর আমার ড্রাইভারকে মারধর করে সফরসঙ্গীদের মোবাইল ফোন ও টাকাপয়সা ছিনিয়ে নেয়। আরও টাকা আছে কি না জানতে চেয়ে তারা প্রথমে আমাকে বাঁশ দিয়ে আঘাত করে, এরপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত করে।”
তিনি আরও বলেন, “আমার শরীর থেকে রক্ত ঝরতে দেখে ডাকাতদল দ্রুত সরে পড়ে। এরপর আমরা পার্শ্ববর্তী এক নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিই। এরপর গাড়ি ঘুরিয়ে আবার আজমিরীগঞ্জ হাসপাতালে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিই।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ফজরের পর বানিয়াচং থানায় গিয়ে মামলা করতে চাইলে পুলিশ মামলা নেয়নি।”
মামলা না নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বানিয়াচং থানার ওসি গোলাম মোস্তফা জানান, ভুক্তভোগী বক্তা কিছুক্ষণ আগে কল করেছেন, আমরা এই বিষয়ে তদন্ত করছি। সন্ধ্যায় একই বিষয়ে মিটিংও ডাকা হয়েছে। ফজরের পর কেন মামলা নেয়া হলোনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুলিশ ২৪ ঘন্টাই সেবা দেয়ায় নিয়োজিত থাকেন। যেকোনো সময় মামলা, অভিযোগ আমরা গ্রহণ করি। ফজরের পর কারা দায়িত্বে ছিলেন আমি খোঁজ নিচ্ছি।
এএইচ