চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় কেরু এ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড (চিনিকল) প্রতিষ্ঠানের চত্বরে আবারো কালো টেপ মড়ানো বোমা সাদৃশ্য বস্তু দেখতে পাওয়া গেছে। পুলিশের ধারণা এটি ককটেল।
একদিনের ব্যবধানে আজ শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে কেরু এ্যান্ড কোম্পানি চত্বরে আবারো বোমা সাদৃশ্য বস্তু পাওয়ায় এলাকায় চরম আতংক বিরাজ করছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কেরু এ্যান্ড কোম্পানির জেনারেল অফিস সংলগ্ন ক্লাবের পাশের ঝোড়ের মধ্যে লাল টেপ মড়ানো একটি বস্তু দেখতে পান কোম্পানির কয়েকজন নিরাপত্তা কর্মীরা। বোমা হতে পারে এই সন্দেহজনক হওয়ায় দ্রুত দর্শনা থানা পুলিশ ও আর্মি ক্যাম্পে খবর দেন তারা। এই নিয়ে দিনব্যাপী আতংক সৃষ্টি হয়। বোমা সদৃশ্য বস্তু সন্দেহে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এটিকে ঘিরে রেখেছিল আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। পরে রাতে ৮টার দিকে রাজশাহী থেকে র্যাব এর ছয় সদস্যের একটি বোমা নিস্ক্রিয়দল ঘটনাস্থলে এসে ককটেলটি বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটায়।

স্থানীয় ও প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মকরত কয়েকজন না প্রকাশ না করার শর্তে রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, প্রতিষ্ঠানে সদ্য স্থগিত হয়ে যাওয়া শ্রমিক ইউনিয়ন নির্বাচন নিয়ে পরিকল্পিতভাবে কোনো পক্ষ এই ঘটনা ঘটাচ্ছে। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে চরম আতংক বিরাজ করছে।
জানা যায়, শনিবার সকালে কেরু কোম্পানি চত্বরে ছাগল চড়াচ্ছিলেন এক যুবক। তিনি প্রথমে কালো টেপ মড়ানো বোমা সাদৃশ্য বস্তু দেখতে পেয়ে নিরাপত্তা কর্মীদের জানায়। তবে প্রায় একই স্থান অর্থাৎ ১০০-২০০ মিটার দূরেই ককটেল পাওয়া গিয়েছিল। এরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ, সেনাবাহিনীর একটি দল পরিদর্শন করেছেন এবং ঘটনাস্থলের আশপাশে সতর্ক অবস্থানে আছেন তারা।

দর্শনা থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) মুহম্মদ শহীদ তিতুমীর রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, আবারো একই ধরনের কালো টেপ মড়ানো বোমা সাদৃশ্য বস্তু পাওয়া গেছে। এটাও ককটেল বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ পূর্বের পাওয়া ককটেলের সঙ্গে এটার হুবহু মিল হয়েছে। তবে আজকেরটা কালো টেপ মড়ানো। রাজশাহী র্যাবের বোমা নিস্ক্রিয় টিমকে জানানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গতবারের ঘটনায় কেরু কোম্পানি কর্তৃপক্ষ মামলা দায়ের করেছেন। আমরা এ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছি।
এএইচ