চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার কুমারী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা মাহবুবুর রহমানকে (৫২) এলোপাতাড়ি কুপিয়ে দুর্বৃত্তরা।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে আলমডাঙ্গা শহরে তাঁতী শেডের পাশে এ হামলা চালানো হয়।
পরে ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে আলমডাঙ্গার ফাতেমা ক্লিনিকে নেন। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত মাহবুবুর রহমান কুমারী ইউনিয়নের হারগাড়ি গ্রামের মৃত মাহাতাব মালিতার ছেলে। বর্তমানে আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার মাদ্রাসাপাড়ায় বসবাস করছেন। এছাড়া তিনি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

এর আগে, গত দু মাস পূর্বে কুমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ পিন্টুকে নানা অপকর্মের জন্য সেনাবাহিনী আটক করে। পরে তাকে অপসারিত করা হলে ইউপি সদস্য ও বিএনপি নেতা মাহবুবুর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়। তবে, কে বা কারা কী কারণে এ হামলা চালানো হয়েছে তা জানা যায়নি। এমনকি তিনি নিজেও এ হামলার ব্যাপারে মুখ খোলেননি।
কুমারী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক বলেন, শনিবার রাতে ‘আমি ও মাহাবুবুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন তাতী সেডে বসে ছিলাম। এ সময় হঠাৎ করেই হেলমেট পরিহিত এক ব্যক্তি এসে মাহাবুবুরকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড় কোপাতে থাকে। এ সময় আমাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. নাজমুস সাকিব বলেন, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ডান হাত গুরুতর জখম হয়েছেন। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভর্তি করা হয়েছে। সার্জারী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পরবর্তী চিকিৎসা দেবেন।
এদিকে, মাহবুবুর রহমানের ওপর হামলার প্রতিবাদে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আক্তার হোসেন জোয়ার্দ্দার, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক রোকন, পৌর বিএনপির সভাপতি আজিজুর রহমান পিন্টু, সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান ওল্টু, উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মীর আসাদুজ্জামান উজ্জ্বল, সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব সাইফুদ্দিন আলম কনক ও কুমারী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম। তারা দ্রুত হামলাকারীকে আটক করে আইনের হাতে তুলে দিতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
এএইচ