খুলনা থেকে ঢাকামুখী সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ট্রেনটি দর্শনা হল্ট স্টেশন এলাকায় পৌঁছালে চলন্ত ট্রেনের বগি থেকে লতা রানী মন্ডল (৩৫) নামের এক যাত্রীর ব্যাগ ছিনতাই করে পালিয়ে যান দুজন ছিনতাইকারী।
ভুক্তভোগী লতা রানী ও তার সঙ্গীয়ারা ট্রেনের ‘ছ’ নম্বর বগির ১৭, ১৮ ও ১৯ নং সিটে বসে ঢাকা যাচ্ছিলেন। ছিনাতাইয়ের ঘটনায় রাতেই পোড়াদাহ রেলওয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
যাত্রী লতা রানী মন্ডল অভিযোগ করেন, ‘দর্শনা হল্ট ক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে ট্রেনটির গতি অনেক কমে যায়। এসময় হঠাৎ করেই অজ্ঞাত দুই ব্যক্তি তাদের ছিটের কাছে আসেন এবং তার হাতব্যাগ নিয়ে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। তিনি চিৎকার করেন এবং ছিনতাইকারীদের পেছন পেছন দৌঁড়ে ট্রেনের দরজা পর্যন্ত যায়। এসময় ওই বগির দুটি দরজায় খোলা ছিলো। ছিনতাইকারীরা চলন্ত ট্রেন থেকে লাফ দিয়ে পালিয়ে যায়।’
তিনি বলেন ‘ঘটনার প্রায় ১০ মিনিট পর ট্রেনের দায়িত্বর পুলিশ সদস্যরা ওই বগিতে আসেন। এবং আমরা কেন সতর্ক ছিলাম না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। অথচ আমরা সকলেই জেগে ছিলাম। চলন্ত ট্রেনে ছিনতাই হবে এটি আমাদের জানার কথা নয়। এভাবে চলন্ত ট্রেনে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলে তাহলে যাত্রীরা কিভাবে নিরাপদ এবং ট্রেনের দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা কতটা সতর্ক তা নিয়ে যাত্রীদের প্রশ্ন তোলা উচিৎ।’
লতা রানী আরোও অভিযোগ করেন, ‘তিনি ও তার সঙ্গী আরোও দুজনসহ ট্রেনের স্নিগ্ধা (এসি) বগিতে মাত্র ৭ জন যাত্রী ছিলেন। মোবারকগঞ্জ স্টেশন থেকে তাদের যাত্রা শুরুর পর থেকে তারা ওই বগিতে কোনো পুলিশ সদস্যকে টহল দিতে আসতে দেখেননি। তার ব্যাগে জাতীয় পরিচয়পত্র, চাকরির আইডি কার্ড, দুটি ব্যাংক এর এটিএম কার্ড, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইটি এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি আইডি কার্ড, তিনটি ঘড়ি, নগদ ১০ হাজার টাকাসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি ছিলো।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পোড়াদহ রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নাজিমউদ্দী বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমি এ ঘটনাটি সম্পর্কে কিছু জানি না। যদি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে থাকে, তবে বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
সুত্র – দৈনিক সময়ের সমীকরণ
এএইচ