চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে দুই যুবককে মাদকসেবী সাজিয়ে আটকে টাকা আদায়ের ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা টাকা ফেরত দিয়েছেন। ২৬ মার্চ মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গার স্থানীয় দৈনিক সময়ের সমীকরণ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সোমবার (২৫ মার্চ) সকালে ওই পুলিশ সদস্যরা ভুক্তভোগী যুবকের বাড়ি যেয়ে টাকা ফেরত দিয়ে আসেন।
গত বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাতে জীবননগর ডিগ্রি কলেজ এলাকা থেকে দুই যুবককে আটকে মাদকসেবী সাজিয়ে আদালতে চালান দেয়ার ভয় দেখায় পুলিশ সদস্যরা। পরে ৬৫ হাজার টাকা নিয়ে তাদের মুক্তি মেলে।
এর আগে ২৫ মার্চ ‘জীবননগরে পুলিশের কাণ্ড, দুই যুবককে ধরে মাদকসেবী সাজানোর চেষ্টা রাতভর মাঠের মধ্যে আটকে রেখে ৬৫ হাজার টাকায় মুক্তি’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে পত্রিকাটি। এরপরই ঘটনাটি জানাজানি হলে ওই তিন পুলিশ কর্মকর্তা বিপাকে পড়েন।
পরে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য সকালে ভুক্তভোগী যুবকের বাড়িতে গিয়ে ৬০ হাজার টাকা ফেরত দেন এবং বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য অনুরোধ করেন অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা।
পত্রিকাটির সংবাদে বলা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে পার্শ্ববর্তী মহেশপুর উপজেলার কাজিরবেড় গ্রামের প্রাণ (২০) ও জীবননগর উপজেলার পাথিলা গ্রামের সুমন রেজা নামের দুই যুবক জীবননগর ডিগ্রি কলেজের পিছনে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে আসেন।
এসময় স্থানীয় কিছু যুবক তাদের আটকিয়ে মাদকসেবী সাজিয়ে পুলিশকে খবর দেয়। জীবননগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দিপু, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মল্লিক শরিফ ও এএসআই আনোয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ওই দুই যুবককে আটক করে ও তাদের কাছে থাকা মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।
এসময় পুলিশ থানায় না নিয়ে যেয়ে তেঁতুলিয়া মাঠের মধ্যে ওই দুই যুবককে আটকিয়ে তাদের কাছে এক লাখ টাকা দাবি করে। পরে রাতভর আটকে রেখে ৬৫ হাজার টাকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী যুবক ছাত্রলীগ নেতা প্রাণ সময়ের সমীকরণে দেয়া সাক্ষাতকারে বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার রাতে আমার সাথে পুলিশ যে ঘটনা ঘটিয়েছে, তা খুবই দুঃখজনক। আমি কখনো বিড়ি-সিগারেট পর্যন্ত ছুয়ে দেখিনি।
অথচ আমাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে রাতভর আটকিয়ে রেখে মাদকসেবী বানিয়ে আমার পরিবারের নিকট থেকে ৬৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল। পরবর্তীতে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর ওই পুলিশ সদস্যরা আমার বাড়িতে এসে টাকা ফেরত দিয়ে গেছে। এবং তাদের চাকরিতে যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সে জন্য আমার একটা সাক্ষাতকার নিয়ে গেছে। তারা যা বলতে বলেছিল, আমি শুধু মানবিক দিক বিবেচনা করে তাই বলেছি।’
এ বিষয়ে মহেশপুর উপজেলার কাজিরবেড় ইউনিয়নের মেম্বার শরিফুল ইসলাম সময়ের সমীকরণকে দেয়া সাক্ষাতকারে বলেন, ‘যে ছেলেটিকে পুলিশ আটক করেছিল, ওই ছেলে অত্যান্ত ভালো। আমার জানা মতে, সে কখনো বিড়ি-সিগারেট বা বাজে কোনো সঙ্গে মেলামেশা করে না। তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত জীবননগর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আনোয়ার সোহেল প্রতিবেদককে বলেন, ‘বিষয়টি আমরা মীমাংসা করে ফেলেছি। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের আর কোনো অভিযোগ নেই।’
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) নাজিম উদ্দীন আল আজাদ সমীকরণকে দেয়া সাক্ষাতকারে বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনার বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখে তদন্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। প্রয়োজনে আমি সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করব।’
এএইচ
রেডিও চুয়াডাঙ্গা ডেস্ক 


























This Case Always In Bangladesh..So, It Will Be Punished By The Police Department Or Government. This is My Openion.
Islamuddin