চুয়াডাঙ্গা ছাত্রদলের উদ্যোগে সদর হাসপাতালে দুই দিনব্যাপী পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু হয়েছে।
গত মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) থেকে হাসপাতাল পরিষ্কার ও সচেতন মূলক কর্মসূচি শুরু হয়।
এর আগে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে সদর হাসপাতালে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ভেঙে পড়ে। এমন অবস্থায় চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে রোগী, চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীদের।

এছাড়া হাসপাতালের আউটসোর্সিং নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীদের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন না হওয়ায় হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ভেঙে পড়ে। ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন সেবা নিতে আসা রোগীরা। এরই ধারাবাহিকতায় স্বেচ্ছায় হাসপাতালে পরিস্কার-পরিছন্নতা অভিযান চালাচ্ছেন চুয়াডাঙ্গা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এতে রোগী ও চিকিৎসকদের মাঝে ফিরে এসেছে স্বস্তি। নির্বিঘ্নে সেবা নিতে দেখা দেখা গেছে রোগীদের।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা শিলা খাতুন নামের এক নারী রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, গত কয়েকদিন আগে হাসপাতালে এসেছিলাম চিকিৎসা নিতে। সেই সময় যত্রতত্রস্থানে ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিলাম। তবে আজকে ব্যতিক্রম। পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন সব কিছু। এখন সেবা নিতেও এসে আর বিড়ম্বনায় পড়তে হবে না।

চুয়াডাঙ্গা পৌর ছাত্রদলের যুগ্ন আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান কনক রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের পর দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়। সেই ধারাবাহিকতায় আমরা দেখেছি আমাদের সদর হাসপাতালে সেবা নিয়্র আসা রোগীরা চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন। হাসপাতালের চারপাশে ময়লা-আবর্জনা পড়ে আছে। এখান থেকে রোগ-জীবাণু ছড়িয়ে পড়তে পারে। বিশেষ করে জানালার পাশে বেডে থাকা রোগীরা বাইরে থেকে আসা দুর্গন্ধে অস্বস্তিতে থাকেন। সবার জন্যই এই পরিবেশ ঝুঁকিপূর্ণ।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ছাত্রদলের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান করেছেন। আমরা সবাই যদি সচেতন না হই তাহলে শুধু অভিযান চালিয়ে পুরো হাসপাতালের পরিবেশ সুন্দর করা সম্ভব নয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান কনক, শৈবাল ইসলাম তুষার, ইমরান, রুমজান, রাব্বি, ফয়সাল, মনিরুল, জিসান ও জীবন প্রমুখ।
এএইচ