০৫:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সপ্তাহে ২০০ শহীদ পরিবার পাবে আর্থিক সহায়তা

জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া ছাত্র-জনতার পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া শুরু করছে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’।

শহীদ পরিবারের কাছে আর্থিক সহায়তা পৌঁছে দিতে শনিবার (২ নভেম্বর) থেকে প্রতি সপ্তাহে ২০০ পরিবারের কাছে আর্থিক সহায়তা পৌঁছানো হবে। প্রতিটি শহীদ পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে প্রদান করা হবে৷

শুক্রবার (১ নভেম্বর) বেলা ১১টায় রাজধানীর শাহবাগে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে’র কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব সারজিস আলম।

ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব বলেন, আগামীকাল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগর ভবন মিলনায়তনে ঢাকা বিভাগের শহীদদের পরিবারের কাছে প্রথম এই অর্থ তুলে দেওয়া হবে। ঢাকার সব শহীদ পরিবার কাল আসবে না। কাল যাদের অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। প্রতি সপ্তাহে পর্যায়ক্রমে অন্যদেরও সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হবে। আশা করা যায় ডিসেম্বরের মধ্যেই সকল পরিবারের কাছে সহায়তা পৌঁছে যাবে।

সারজিস আলম বলেন, আমরা আগামীকাল ২০০ পরিবারের মাঝে সহায়তা দেব। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চারটি ভাগে টাকা দেওয়া হবে। প্রতি ভাগে ৫০ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। যেন কেউ এসে বিকেল পর্যন্ত বসে থাকতে না হয়। এজন্য ২০ জনের একটি দল প্রস্তুত রয়েছে।

সারজিস বলেন, আমরা প্রথম ঢাকা বিভাগ নিয়ে কাজ করছি। ঢাকায় শহীদের সংখ্যা দুইশর বেশি। তাদের দেওয়ার পর আট বিভাগে আর্থিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হবে। প্রতিটি শহীদ পরিবারকে প্রাথমিকভাবে পাঁচ লাখ টাকা দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, আহতদের এক লাখ করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। আহতদের সহায়তা বিকাশের মাধ্যমে পৌঁছে দিচ্ছি। পরিমাণ বেশি হলে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে। তবে কারও জরুরি সহযোগিতা প্রয়োজন হলে হেল্পলাইন ১৬০০০-এ যোগাযোগ করলে তিন দিনের মধ্যে সহযোগিতা পৌঁছে দেওয়া হবে।

এই সহায়তার পর পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার পরিকল্পনা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এরপর আমাদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করার ইচ্ছে রয়েছে। যারা আর কখনো কর্মক্ষেত্রে ফিরতে পারবেন না, তাদের দীর্ঘ সময়জুড়ে কোনো সম্মানী দেওয়া যায় কি না, এটিও বিবেচনা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাকে নানাভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে। ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান নিয়ে যেন প্রশ্ন না ওঠে, এজন্য আমরা যাচাই-বাছাই করছি। নয় জনের একটি দল ভেরিফিকেশনের কাজ করছে। ইতোমধ্যে ৮০০-এর অধিক শহীদের তালিকা চূড়ান্ত করা গেছে। ২৪ হাজারের বেশি আহত ও এক হাজার ৬০০-এর বেশি শহীদের তালিকা রয়েছে। তথ্যগুলো যাচাই করে নভেম্বরের মধ্যেই চূড়ান্ত তালিকা করা হবে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

জনপ্রিয়

এক চাকা নিয়ে ঢাকায় অবতরণ করলো বিমানের ফ্লাইট, নিরাপদে ৭১ যাত্রী

সপ্তাহে ২০০ শহীদ পরিবার পাবে আর্থিক সহায়তা

প্রকাশের সময় : ০৬:২৮:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪

জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া ছাত্র-জনতার পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া শুরু করছে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’।

শহীদ পরিবারের কাছে আর্থিক সহায়তা পৌঁছে দিতে শনিবার (২ নভেম্বর) থেকে প্রতি সপ্তাহে ২০০ পরিবারের কাছে আর্থিক সহায়তা পৌঁছানো হবে। প্রতিটি শহীদ পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে প্রদান করা হবে৷

শুক্রবার (১ নভেম্বর) বেলা ১১টায় রাজধানীর শাহবাগে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে’র কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব সারজিস আলম।

ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব বলেন, আগামীকাল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগর ভবন মিলনায়তনে ঢাকা বিভাগের শহীদদের পরিবারের কাছে প্রথম এই অর্থ তুলে দেওয়া হবে। ঢাকার সব শহীদ পরিবার কাল আসবে না। কাল যাদের অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। প্রতি সপ্তাহে পর্যায়ক্রমে অন্যদেরও সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হবে। আশা করা যায় ডিসেম্বরের মধ্যেই সকল পরিবারের কাছে সহায়তা পৌঁছে যাবে।

সারজিস আলম বলেন, আমরা আগামীকাল ২০০ পরিবারের মাঝে সহায়তা দেব। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চারটি ভাগে টাকা দেওয়া হবে। প্রতি ভাগে ৫০ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। যেন কেউ এসে বিকেল পর্যন্ত বসে থাকতে না হয়। এজন্য ২০ জনের একটি দল প্রস্তুত রয়েছে।

সারজিস বলেন, আমরা প্রথম ঢাকা বিভাগ নিয়ে কাজ করছি। ঢাকায় শহীদের সংখ্যা দুইশর বেশি। তাদের দেওয়ার পর আট বিভাগে আর্থিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হবে। প্রতিটি শহীদ পরিবারকে প্রাথমিকভাবে পাঁচ লাখ টাকা দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, আহতদের এক লাখ করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। আহতদের সহায়তা বিকাশের মাধ্যমে পৌঁছে দিচ্ছি। পরিমাণ বেশি হলে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে। তবে কারও জরুরি সহযোগিতা প্রয়োজন হলে হেল্পলাইন ১৬০০০-এ যোগাযোগ করলে তিন দিনের মধ্যে সহযোগিতা পৌঁছে দেওয়া হবে।

এই সহায়তার পর পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার পরিকল্পনা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এরপর আমাদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করার ইচ্ছে রয়েছে। যারা আর কখনো কর্মক্ষেত্রে ফিরতে পারবেন না, তাদের দীর্ঘ সময়জুড়ে কোনো সম্মানী দেওয়া যায় কি না, এটিও বিবেচনা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাকে নানাভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে। ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান নিয়ে যেন প্রশ্ন না ওঠে, এজন্য আমরা যাচাই-বাছাই করছি। নয় জনের একটি দল ভেরিফিকেশনের কাজ করছে। ইতোমধ্যে ৮০০-এর অধিক শহীদের তালিকা চূড়ান্ত করা গেছে। ২৪ হাজারের বেশি আহত ও এক হাজার ৬০০-এর বেশি শহীদের তালিকা রয়েছে। তথ্যগুলো যাচাই করে নভেম্বরের মধ্যেই চূড়ান্ত তালিকা করা হবে।