১০:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বঙ্গভবনের নিরাপত্তা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা, সেনাবাহিনীর ধাওয়া

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ভুয়া-ভুয়াসহ একাধিক স্লোগান দেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণের দাবিতে বঙ্গভবনের সামনে আন্দোলনরত কিছু ছাত্রজনতা হঠাৎ নিরাপত্তা ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করে। এ সময় আন্দোলনকারীদের বাধা দেয় নিরাপত্তায় নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

একপর্যায়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা আন্দোলনকারীদের ধাওয়া দেয়। পরে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।

এদিন দুপুরের পর থেকে বঙ্গভবনের সামনের মোড়ে অবস্থান নিয়ে রাষ্ট্রপতির অপসারণ চেয়ে বিক্ষোভ করেন বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে আসা কিছু বিক্ষুব্ধ জনতা। এরপরেই ওই এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়। আনা হয় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর এপিসি ও জলকামান।

এর আগে দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালযয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিল শুরু করে বঙ্গভবনের দিকে যাত্রা শুরু করে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা কমিটি। হাইকোর্ট মাজার মোড় এলাকায় পুলিশ তাদের বাধা দেয়। কিন্তু বাধা অতিক্রম করে বঙ্গভবন পর্যন্ত এগিয়ে যায় তারা। সেখানে তারা বঙ্গভবনের সামনের খালি জায়গায় অবস্থান করতে চাইলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। উপায় না পেয়ে বঙ্গভবন মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে তারা।

এর আগে গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে ফেসবুকে এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। পোস্টের ক্যাপশনে তিনি লিখেন, ‘সন্ত্রাসী ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ও ফ্যাসিবাদের দোসর রাষ্ট্রপতি চুপ্পুর পদত্যাগের দাবিতে ছাত্র-জনতার গণজমায়েত হবে।’

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

জনপ্রিয়

এক চাকা নিয়ে ঢাকায় অবতরণ করলো বিমানের ফ্লাইট, নিরাপদে ৭১ যাত্রী

বঙ্গভবনের নিরাপত্তা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা, সেনাবাহিনীর ধাওয়া

প্রকাশের সময় : ০৯:১৭:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ভুয়া-ভুয়াসহ একাধিক স্লোগান দেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণের দাবিতে বঙ্গভবনের সামনে আন্দোলনরত কিছু ছাত্রজনতা হঠাৎ নিরাপত্তা ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করে। এ সময় আন্দোলনকারীদের বাধা দেয় নিরাপত্তায় নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

একপর্যায়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা আন্দোলনকারীদের ধাওয়া দেয়। পরে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।

এদিন দুপুরের পর থেকে বঙ্গভবনের সামনের মোড়ে অবস্থান নিয়ে রাষ্ট্রপতির অপসারণ চেয়ে বিক্ষোভ করেন বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে আসা কিছু বিক্ষুব্ধ জনতা। এরপরেই ওই এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়। আনা হয় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর এপিসি ও জলকামান।

এর আগে দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালযয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিল শুরু করে বঙ্গভবনের দিকে যাত্রা শুরু করে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা কমিটি। হাইকোর্ট মাজার মোড় এলাকায় পুলিশ তাদের বাধা দেয়। কিন্তু বাধা অতিক্রম করে বঙ্গভবন পর্যন্ত এগিয়ে যায় তারা। সেখানে তারা বঙ্গভবনের সামনের খালি জায়গায় অবস্থান করতে চাইলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। উপায় না পেয়ে বঙ্গভবন মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে তারা।

এর আগে গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে ফেসবুকে এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। পোস্টের ক্যাপশনে তিনি লিখেন, ‘সন্ত্রাসী ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ও ফ্যাসিবাদের দোসর রাষ্ট্রপতি চুপ্পুর পদত্যাগের দাবিতে ছাত্র-জনতার গণজমায়েত হবে।’