০৬:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নারী টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

১০ বছর পর বিশ্বকাপে জয় পেল বাংলাদেশ

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৯:৩১:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪
  • ১৪৫ views

আজ বৃহস্পতিবার (০৩ অক্টোবর) টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে অভিষিক্ত স্কটল্যান্ডের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ।বিশ্বকাপের পাঁচ আসরে অংশ নিলেও কেবল দুই ম্যাচে জয়ের স্বাদ পেয়েছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। এর মধ্যে গত চারটি বিশ্বকাপেই তারা ছিল জয়হীন। যদিও ব্যাটিংয়ে তাদের পুঁজি ছিল ছোট, ১১৯ রানের। সেই পুঁজিকে যথেষ্ট প্রমাণ করে বোলাররা টাইগ্রেসদের ১০ বছর পর বিশ্বকাপে আরেকটি জয় এনে দিয়েছেন।

১২০ রানের লক্ষ্য তাড়ায় স্কটিশ মেয়েরা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১০৩ রান তুলতে সক্ষম হয়েছে। ফলে ১৬ রানের জয় দিয়ে বিশ্বকাপের নবম আসর শুরু করেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

এই আনন্দ দ্বিগুণ হতে পারত জ্যোতি-নাহিদাদের, যদি বিশ্বকাপটা বাংলাদেশেই হতো। এই বিশ্বকাপের আয়োজক ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু রাজনৈতিক পালাবদলের পর সৃষ্ট পরিস্থিতিতে টুর্নামেন্টটি বাংলাদেশ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় সংযুক্ত আরব আমিরাতে।

এর আগে ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত ২০১৪ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ নারী দল প্রথমবার খেলতে নেমে দুই ম্যাচে জিতেছিল। যা ছিল সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের বিশ্বকাপে টাইগ্রেসদের সর্বশেষ জয়। এরপর আরেকটি জয় পেতে বাংলাদেশকে আরও ১০ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। নাহিদা আক্তার, মারুফা খাতুন ও রিতু মনিদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে স্বার্থক হয়েছে অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির মাইলফলক ম্যাচটি। বাংলাদেশের প্রথম কোনো নারী ক্রিকেটার হিসেবে এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার এদিন শততম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে নামেন।

শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অতিরিক্ত তাপমাত্রায় হাঁসফাঁস করতে দেখা গেছে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের। এর আগে তাদের এই মাঠে কোনো প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতাও ছিল না। প্রথমবার খেলতে নেমে সোবহানা মোস্তারির ৩৪ এবং সাথী রানির ২৯ রানের সুবাদে ১১৯ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশের মেয়েরা। পরে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরু থেকে স্কটল্যান্ড ব্যাটারদের তেমন চড়াও হওয়ার সুযোগ না দিয়ে নিয়ন্ত্রণে রেখে বোলিং করেছেন নাহিদা-মারুফারা।

লক্ষ্য তাড়ায় দলীয় মাত্র ১২ রানেই প্রথম উইকেট হারায় স্কটল্যান্ড। সাসকিয়া হরলিয়াকে (৮) ফিরিয়ে ফাহিমা খাতুন প্রথম আঘাতটা হানেন। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে চাপ বাড়তে থাকে স্কটল্যান্ড শিবিরে। একে একে ক্যাথরিন ব্রাইস (১১), এইলসা লিস্টার (৫), প্রিয়ানাজ চ্যাটার্জিদের (৫) ফিরিয়েছেন মারুফা-রিতুরা। ফলে এক প্রান্ত আগলে রাখলেও যোগ্য সঙ্গীর অভাবে দলের বিপদ কাটাতে পারেননি সারাহ ব্রাইস।

বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি উইকেট পেয়েছেন রিতু মনি। এ ছাড়া একটি করে শিকার ধরেছেন মারুফা, রাবেয়া, ফাহিমা ও নাহিদা। স্বর্ণা আক্তার বাদে বাকি সবাই মিতব্যয়ী বোলিং করেছেন।

তবে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন এই স্কটিশ ওপেনার। তার ভরসায় হয়তো জয়ের স্বপ্নও দেখছিল প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে আসা স্কটল্যান্ডের মেয়েরা। শেষ পর্যন্ত সারাহ অপরাজিত ছিলেন ৪৯ রানে। ৫২ বলের ইনিংসে একটি চারের বাউন্ডারি আসে তার ব্যাট থেকে। এ ছাড়া বলার মতো রান পাননি আর কোনো ব্যাটারই।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

জনপ্রিয়

এক চাকা নিয়ে ঢাকায় অবতরণ করলো বিমানের ফ্লাইট, নিরাপদে ৭১ যাত্রী

নারী টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

১০ বছর পর বিশ্বকাপে জয় পেল বাংলাদেশ

প্রকাশের সময় : ০৯:৩১:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪

আজ বৃহস্পতিবার (০৩ অক্টোবর) টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে অভিষিক্ত স্কটল্যান্ডের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ।বিশ্বকাপের পাঁচ আসরে অংশ নিলেও কেবল দুই ম্যাচে জয়ের স্বাদ পেয়েছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। এর মধ্যে গত চারটি বিশ্বকাপেই তারা ছিল জয়হীন। যদিও ব্যাটিংয়ে তাদের পুঁজি ছিল ছোট, ১১৯ রানের। সেই পুঁজিকে যথেষ্ট প্রমাণ করে বোলাররা টাইগ্রেসদের ১০ বছর পর বিশ্বকাপে আরেকটি জয় এনে দিয়েছেন।

১২০ রানের লক্ষ্য তাড়ায় স্কটিশ মেয়েরা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১০৩ রান তুলতে সক্ষম হয়েছে। ফলে ১৬ রানের জয় দিয়ে বিশ্বকাপের নবম আসর শুরু করেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

এই আনন্দ দ্বিগুণ হতে পারত জ্যোতি-নাহিদাদের, যদি বিশ্বকাপটা বাংলাদেশেই হতো। এই বিশ্বকাপের আয়োজক ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু রাজনৈতিক পালাবদলের পর সৃষ্ট পরিস্থিতিতে টুর্নামেন্টটি বাংলাদেশ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় সংযুক্ত আরব আমিরাতে।

এর আগে ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত ২০১৪ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ নারী দল প্রথমবার খেলতে নেমে দুই ম্যাচে জিতেছিল। যা ছিল সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের বিশ্বকাপে টাইগ্রেসদের সর্বশেষ জয়। এরপর আরেকটি জয় পেতে বাংলাদেশকে আরও ১০ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। নাহিদা আক্তার, মারুফা খাতুন ও রিতু মনিদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে স্বার্থক হয়েছে অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির মাইলফলক ম্যাচটি। বাংলাদেশের প্রথম কোনো নারী ক্রিকেটার হিসেবে এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার এদিন শততম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে নামেন।

শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অতিরিক্ত তাপমাত্রায় হাঁসফাঁস করতে দেখা গেছে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের। এর আগে তাদের এই মাঠে কোনো প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতাও ছিল না। প্রথমবার খেলতে নেমে সোবহানা মোস্তারির ৩৪ এবং সাথী রানির ২৯ রানের সুবাদে ১১৯ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশের মেয়েরা। পরে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরু থেকে স্কটল্যান্ড ব্যাটারদের তেমন চড়াও হওয়ার সুযোগ না দিয়ে নিয়ন্ত্রণে রেখে বোলিং করেছেন নাহিদা-মারুফারা।

লক্ষ্য তাড়ায় দলীয় মাত্র ১২ রানেই প্রথম উইকেট হারায় স্কটল্যান্ড। সাসকিয়া হরলিয়াকে (৮) ফিরিয়ে ফাহিমা খাতুন প্রথম আঘাতটা হানেন। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে চাপ বাড়তে থাকে স্কটল্যান্ড শিবিরে। একে একে ক্যাথরিন ব্রাইস (১১), এইলসা লিস্টার (৫), প্রিয়ানাজ চ্যাটার্জিদের (৫) ফিরিয়েছেন মারুফা-রিতুরা। ফলে এক প্রান্ত আগলে রাখলেও যোগ্য সঙ্গীর অভাবে দলের বিপদ কাটাতে পারেননি সারাহ ব্রাইস।

বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি উইকেট পেয়েছেন রিতু মনি। এ ছাড়া একটি করে শিকার ধরেছেন মারুফা, রাবেয়া, ফাহিমা ও নাহিদা। স্বর্ণা আক্তার বাদে বাকি সবাই মিতব্যয়ী বোলিং করেছেন।

তবে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন এই স্কটিশ ওপেনার। তার ভরসায় হয়তো জয়ের স্বপ্নও দেখছিল প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে আসা স্কটল্যান্ডের মেয়েরা। শেষ পর্যন্ত সারাহ অপরাজিত ছিলেন ৪৯ রানে। ৫২ বলের ইনিংসে একটি চারের বাউন্ডারি আসে তার ব্যাট থেকে। এ ছাড়া বলার মতো রান পাননি আর কোনো ব্যাটারই।