বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক মেহেদি হাসান বাবু খান বলেছেন, আপনারা লক্ষ্য করবেন প্রতি বছর হিন্দু ধর্মের যারা আছে তাদের ভিতরে অধিকাংশ কিছু পুরোহিত আমাদের মুসলমান ধর্মের সব থেকে জনপ্রিয় আয়কন যাকে আমরা ফলো করি, আমরা যার আদর্শ মেনে আমরা মানুষের মত মানুষ হতে চাই, আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কেও ভারতের পুরোহিত তিনি তাকে নিয়ে কটুক্তিমূলক কথা বলেছেন এবং ব্যঙ্গ করার চেষ্টা করেছেন।
আমরা বাংলাদেশের মানুষ স্পৃষ্টভাবে বলে দিতে চাই ভারত এবং ভারতের এই হিন্দু ধর্মের দোসররা যদি আমাদের বিশ্বনবীকে নিয়ে কথা বলে, আমরা আমাদের মত জায়গা থেকে শক্তভাবে প্রতিবাদ করব।
আজ রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে চুয়াডাঙ্গা ছাত্রসমাজের উদ্যোগে ভারতের মহারাষ্ট্রে হিন্দু পুরোহিত মহারাজ ও বিজেপি সাংসদ নিতেশ রানে কর্তৃক মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে কটুক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল শেষে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক মেহেদি হাসান বাবু খান।
এর আগে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে পুনরায় সরকারী কলেজের সামনে এসে বিক্ষোভ মিছিলটি শেষ হয়। এতে ছাত্র ও ছাত্রীদের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণি পেশার শতশত মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছেন মেহেদি হাসান বাবু খান
মিছিল শেষে সরকারি কলেজের সামনে সমাবেশে বাবু খান বলেন, আমরা আমাদের ধর্মকে বিশ্বাস করি। আমরা পাশাপাশি যারা ভিন্নধর্মীরা আছেন তাদের ধর্মের প্রতিও শ্রদ্ধা ও সম্মান জানায়। বরাবর দেখে আসছি যে ভারতকে আমরা কিন্তু বন্ধু রাষ্ট্র বলি, আসলে প্রকৃতপক্ষে ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র না। এখানে হিন্দুর সংখ্যা বেশি, আমাদের মুসলিমের সংখ্যা কম। এখানে যারা মুসলিম সংখ্যালঘু আছে তাদের প্রতিনিয়ত আত্যাচার, দমন নিপীড়ন এই হিন্দু ধর্ম মানুষের পক্ষ থেকে চালানো হয়।
বাবু খান বলেন, আজকে চুয়াডাঙ্গার জেলাতে সকল স্তরের ছাত্রসমাজ আমাদের বিশ্বনবীর অপমানের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। পরবর্তীতেও যদি আমাদের বিশ্বনবীকে নিয়েও তারা এরকম কটুক্তিমূলক কথা বলে, অবমাননার চেষ্টা করে, আমরা আমাদের মত প্রতিবাদ জানাব। এবং আমাদের বিশ্বনবীকে নিয়ে যে অবমাননা ও অপ্রতিকর কথা বলা হয়েছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধি সাফফাতুল ইসলাম, শিক্ষার্থী আনিমা ইসলাম, সজিবুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম, ফাহিম উদ্দিন মভিন, মুশফিক, আকাশ, প্লাবনসহ বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা।
এসইউ/এফইউএম/এএইচ