১২:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উপর হামলা

চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক তিন মেয়রসহ ৮৮ জনের নামে মামলা

চুয়াডাঙ্গা সদরের সরোজগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনার এক মাস পর সদর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

সোমবার (১৯ আগস্ট) চুয়াডাঙ্গা সদর থানাধীন মহাম্মদজুমা গ্রামের আলতাব হোসেনের ছেলে তৌফিক আহমেদ (১৯) বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

এই মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক ও সাবেক পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিক, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সদ্য সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকনসহ ৮৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৬০-৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে গত ১৮ জুলাই সরোজগঞ্জ বাজারে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন শুরু করেন।

এসময় মামলার ১ নম্বর আসামির নির্দেশে অন্য আসামিসহ অজ্ঞাতরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ভণ্ডুল করতে হামলা চালায়। হামলায় ব্যবহৃত তাদের হাতে থাকা দেশীয় ধারালো অস্ত্র রাম দা, হাত কুড়াল, হকিস্টিকের আঘাতে শিক্ষার্থীরা গুরুতর ও সাধারণ জখম হন।

মামলার ২ নম্বর আসামির নির্দেশে অন্যান্য আসামিগণ বৈষম্যবিরোধী সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিরীহ শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বিস্ফোরিত ককটেলের অংশবিশেষ ঘটনাস্থলে পড়ে থাকলেও ঘটনার তারিখে আইনশৃঙ্খলা অবনতি ঘটায় এবং পরবর্তীতে ৫ আগস্ট ২০২৪ইং তারিখে স্বৈরাচার আওয়ামী সরকার গণঅভ্যুত্থারের মাধ্যমে পদত্যাগ করায় আলামত জব্দ করা সম্ভব হয়নি। এবং এজাহার দায়ের করতে বিলম্ব হয়।

মামলার বাদী তৌফিক আহমেদ বলেন, ঘটনায় আহত ছাত্র-ছাত্রীরা চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। আসামিদের এমন কর্মকাণ্ডের ধারণকৃত ভিডিও মানুষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপলোড করলে তা ভাইরালও হয়। এ ঘটনায় এক মাস পর মামলা হলো।

মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক ও সাবেক পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিক, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সদ্য সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জানিফ, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইন জ্যাকি, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার কাউন্সিলর মাফিজুর রহমান মাফি ও পৌর কাউন্সিলর কামরুজ্জামান চাঁদ, জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি আফরোজা পারভীন, সিনেমা হল পাড়ার সোহেল সজিব, কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী আহম্মেদ হাসানুজ্জামান মানিক, সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জুয়েল রানা, পদ্মবিলা ইউপি চেয়ারম্যান আলম, যুবলীগ নেতা হিমেল, খালিদ, রাজু চেয়ারম্যান, শুকুর আলী চেয়ারম্যান, যুবলীগ নেতা শরীফ হোসেন দুদু, ছাত্রলীগ নেতা ইমদাদুল হক আকাশ প্রমুখের নাম উল্লেখ আছে বলে জানা গেছে।

One thought on “চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক তিন মেয়রসহ ৮৮ জনের নামে মামলা

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

জনপ্রিয়

এক চাকা নিয়ে ঢাকায় অবতরণ করলো বিমানের ফ্লাইট, নিরাপদে ৭১ যাত্রী

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উপর হামলা

চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক তিন মেয়রসহ ৮৮ জনের নামে মামলা

প্রকাশের সময় : ০৩:২৮:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪

চুয়াডাঙ্গা সদরের সরোজগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনার এক মাস পর সদর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

সোমবার (১৯ আগস্ট) চুয়াডাঙ্গা সদর থানাধীন মহাম্মদজুমা গ্রামের আলতাব হোসেনের ছেলে তৌফিক আহমেদ (১৯) বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

এই মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক ও সাবেক পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিক, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সদ্য সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকনসহ ৮৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৬০-৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে গত ১৮ জুলাই সরোজগঞ্জ বাজারে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন শুরু করেন।

এসময় মামলার ১ নম্বর আসামির নির্দেশে অন্য আসামিসহ অজ্ঞাতরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ভণ্ডুল করতে হামলা চালায়। হামলায় ব্যবহৃত তাদের হাতে থাকা দেশীয় ধারালো অস্ত্র রাম দা, হাত কুড়াল, হকিস্টিকের আঘাতে শিক্ষার্থীরা গুরুতর ও সাধারণ জখম হন।

মামলার ২ নম্বর আসামির নির্দেশে অন্যান্য আসামিগণ বৈষম্যবিরোধী সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিরীহ শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বিস্ফোরিত ককটেলের অংশবিশেষ ঘটনাস্থলে পড়ে থাকলেও ঘটনার তারিখে আইনশৃঙ্খলা অবনতি ঘটায় এবং পরবর্তীতে ৫ আগস্ট ২০২৪ইং তারিখে স্বৈরাচার আওয়ামী সরকার গণঅভ্যুত্থারের মাধ্যমে পদত্যাগ করায় আলামত জব্দ করা সম্ভব হয়নি। এবং এজাহার দায়ের করতে বিলম্ব হয়।

মামলার বাদী তৌফিক আহমেদ বলেন, ঘটনায় আহত ছাত্র-ছাত্রীরা চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। আসামিদের এমন কর্মকাণ্ডের ধারণকৃত ভিডিও মানুষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপলোড করলে তা ভাইরালও হয়। এ ঘটনায় এক মাস পর মামলা হলো।

মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক ও সাবেক পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিক, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সদ্য সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জানিফ, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইন জ্যাকি, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার কাউন্সিলর মাফিজুর রহমান মাফি ও পৌর কাউন্সিলর কামরুজ্জামান চাঁদ, জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি আফরোজা পারভীন, সিনেমা হল পাড়ার সোহেল সজিব, কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী আহম্মেদ হাসানুজ্জামান মানিক, সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জুয়েল রানা, পদ্মবিলা ইউপি চেয়ারম্যান আলম, যুবলীগ নেতা হিমেল, খালিদ, রাজু চেয়ারম্যান, শুকুর আলী চেয়ারম্যান, যুবলীগ নেতা শরীফ হোসেন দুদু, ছাত্রলীগ নেতা ইমদাদুল হক আকাশ প্রমুখের নাম উল্লেখ আছে বলে জানা গেছে।