০৯:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিজেদের রাজাকার ঘোষণা দিয়ে শিক্ষার্থীদের স্লোগান লজ্জার: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

সোমবার (১৫ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সরকারের মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি এবং শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। লাখো শহীদ রক্ত দিয়ে গেছে, লাখো মা-বোন নির্যাতিতা হয়েছে। তাদের অবদান ভুললে চলবে না। মনে রাখতে হবে, পাকিস্তানি হানাদার আর রাজাকাররা যেভাবে অত্যাচার করেছে…দুঃখ লাগে যখন শুনি রোকেয়া হলের ছাত্রীরাও নিজেদের রাজাকার দাবি করে স্লোগান দেয়। তারা কি জানে ২৫ মার্চ কি ঘটেছিলো সেখানে? ৩০০ মেয়েকে হত্যা করেছিলো, ৪০ জন মেয়েকে রেইপ করেছিলো এবং এদের ধরে নিয়ে পাকিস্তানি ক্যাম্পে নিয়ে গিয়েছিলো।

তিনি আরও বলেন, অনেক মেয়ে শাড়ি বা ওড়না দিয়ে ফাঁসি দিতো বলে তাদের কাপড় পরতে দেওয়া হতো না। পেটিকোট পরিয়ে বসিয়ে রাখতো। দিনের পর দিন পাশবিক অত্যাচার হতো। মিত্র বাহিনীর একজন শিখ সৈন্য মাথার পাগড়ি পেচিয়ে একজন মেয়েলে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এমন একটা ঘটনা না, এমন বহু ঘটনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসব অত্যাচার, রাস্তায় রাস্তায় লাশ পড়ে থাকা এরা দেখেনি। তাই নিজেদের রাজাকার বলতে তাদের লজ্জা হয় না। দুর্ভাগ্য এখন মেয়েরা স্লোগান দেয়। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের গর্বের। কোন দেশে আছি, তারা কোন চেতনায় বিশ্বাস করে, কি শিক্ষা তারা নিলো?

সরকারপ্রধান বলেন, ৭৫ এর পর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, ত্যাগের ইতিহাস মুছে ফেলা হয়। জয়বাংলা স্লোগান নিষিদ্ধ ছিল। যুদ্ধাপরাধীরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। লাখো শহীদের রক্তে অর্জিত স্বাধীনতা ব্যর্থ হয়ে যাবে সেটা কখনও হতে পারে না। বিজয়ের মর্যাদা ফিরিয়ে আনাই লক্ষ্য ছিল।

সরকারি কর্মকর্তাদের অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইশতেহার অনুযায়ী আওয়ামী লীগ কাজ করে। সরকারি সব কাজে যেন গতিশীলতা ও জবাবদিহিতামূলক হয় সে দিকে নজর রাখতে হবে।

জনপ্রিয়

চুয়াডাঙ্গায় মোটরসাইকেল কিনে না দেয়ায় মনোমালিন্য, অত:পর…

নিজেদের রাজাকার ঘোষণা দিয়ে শিক্ষার্থীদের স্লোগান লজ্জার: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৬:৫৩:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

সোমবার (১৫ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সরকারের মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি এবং শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। লাখো শহীদ রক্ত দিয়ে গেছে, লাখো মা-বোন নির্যাতিতা হয়েছে। তাদের অবদান ভুললে চলবে না। মনে রাখতে হবে, পাকিস্তানি হানাদার আর রাজাকাররা যেভাবে অত্যাচার করেছে…দুঃখ লাগে যখন শুনি রোকেয়া হলের ছাত্রীরাও নিজেদের রাজাকার দাবি করে স্লোগান দেয়। তারা কি জানে ২৫ মার্চ কি ঘটেছিলো সেখানে? ৩০০ মেয়েকে হত্যা করেছিলো, ৪০ জন মেয়েকে রেইপ করেছিলো এবং এদের ধরে নিয়ে পাকিস্তানি ক্যাম্পে নিয়ে গিয়েছিলো।

তিনি আরও বলেন, অনেক মেয়ে শাড়ি বা ওড়না দিয়ে ফাঁসি দিতো বলে তাদের কাপড় পরতে দেওয়া হতো না। পেটিকোট পরিয়ে বসিয়ে রাখতো। দিনের পর দিন পাশবিক অত্যাচার হতো। মিত্র বাহিনীর একজন শিখ সৈন্য মাথার পাগড়ি পেচিয়ে একজন মেয়েলে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এমন একটা ঘটনা না, এমন বহু ঘটনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসব অত্যাচার, রাস্তায় রাস্তায় লাশ পড়ে থাকা এরা দেখেনি। তাই নিজেদের রাজাকার বলতে তাদের লজ্জা হয় না। দুর্ভাগ্য এখন মেয়েরা স্লোগান দেয়। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের গর্বের। কোন দেশে আছি, তারা কোন চেতনায় বিশ্বাস করে, কি শিক্ষা তারা নিলো?

সরকারপ্রধান বলেন, ৭৫ এর পর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, ত্যাগের ইতিহাস মুছে ফেলা হয়। জয়বাংলা স্লোগান নিষিদ্ধ ছিল। যুদ্ধাপরাধীরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। লাখো শহীদের রক্তে অর্জিত স্বাধীনতা ব্যর্থ হয়ে যাবে সেটা কখনও হতে পারে না। বিজয়ের মর্যাদা ফিরিয়ে আনাই লক্ষ্য ছিল।

সরকারি কর্মকর্তাদের অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইশতেহার অনুযায়ী আওয়ামী লীগ কাজ করে। সরকারি সব কাজে যেন গতিশীলতা ও জবাবদিহিতামূলক হয় সে দিকে নজর রাখতে হবে।