সরকারি চাকরিতে নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের এক দফা দাবিতে চলমান আন্দোলনের মাঝেই মধ্যরাতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ক্যাম্পাস।
রোববার (১৪ জুলাই) রাত থেকেই সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য ঘিরে ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার-রাজাকার’ স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে ঢাবি.
রাত সাড়ে ১০টার দিকে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন হল থেকে বের হয়ে আসেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার-রাজাকার’, ‘এই বাংলার মাটি, রাজাকারের ঘাঁটি’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
অপরদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এলাকায় রোববার মধ্যরাতে ফোর–জি নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে ওই এলাকায় মোবাইলে ইন্টারনেট সেবা পাওয়া যাচ্ছে না।
সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের অবমাননা করা হয়েছে উল্লেখ করে রোববার রাত ১০টার পর বিভিন্ন হলে মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। পরে তাঁরা রাজু ভাস্কর্যের সামনে এসে বিক্ষোভ করছেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, মধ্যরাত থেকে তাঁরা মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছেন না। অনেকে মুঠোফোনে সরাসরি কলও দিতে পারছেন না।
ফারুক আহমেদ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, আধঘণ্টা ধরে ইন্টারনেটে ধীরগতি ছিল, তবে রাত একটা থেকে ইন্টারনেট সেবা একেবারেই পাচ্ছেন না তিনি।
অপারেটর সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ৪–জি নেটওয়ার্ক বন্ধ করার নির্দেশনা তাঁরা পেয়েছেন। তাদের খুদে বার্তায় বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ৪–জি নেটওয়ার্ক বন্ধ রাখতে।
দেশে এখন মুঠোফোনে দ্রুতগতির ফোর-জি ইন্টারনেট সেবা দেওয়া হয়। তবে তা টু-জিতে নামিয়ে আনলে শুধু কথা বলা যায়, দ্রুতগতির ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায় না।
বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া এক শিক্ষার্থী বলেন, সূর্যসেন হল, মুহসীন হল, একাত্তর হল, এ এফ রহমান হল ও সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে আটকে রাখা শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করা হয়েছে এবং মিছিলে যুক্ত করা হয়েছে। জহুরুল হক হলের টিভি রুমে শিক্ষার্থীদের আটকে রাখা হয়েছিল।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক রিফাত রশিদ বলেন, বিজয় একাত্তর হলগেট বন্ধ রাখা হয়েছিল। সেখানে আটকে রাখা শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করতে গেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ আহত হন।
সুত্র : প্রথম আলো ও ঢাকা পোস্ট
এএইচ