০৬:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় নানার বাড়িতে বেড়াতে এসে গৃহবধূর বিষপান, রহস্য

শুক্রবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে দামুড়হুদা উপজেলার দলকা লক্ষ্মীপুর গ্রামে নানার বাড়িতে বিষপান করেন চাঁদনী খাতুন।

চাঁদনী খাতুন চুয়াডাঙ্গা পৌরসভাধীন নিলারমোড় এলাকার ফয়সালের স্ত্রী। তবে কি কারণে বিষপান করেছে এ বিষয়ে পরিবারের সদস্যরা স্পষ্ট কোন উত্তর দিতে পারেননি। এতে রহস্যের দানা বেধেছে। পুলিশের তদন্তেই প্রকৃত ঘটনা উম্মোচন হবে বলে মনে করেন সচেতন মহল।

চাঁদনী খাতুনের মামা জিনারুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার সকালে আমি বাড়িতে ছিলাম। এসময় চাঁদনীর নানি আমাদেরকে ডাক দেয়, গিয়ে দেখতে পায় একটা ইদুর মারা বিষের খালি প্যাকেট ও পানির গ্লাস পড়ে আছে, আমার চাঁদনীকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নিহতের স্বামী ফয়সাল বলেন, চাঁদনীর নানা তিনদিন আগে আমার বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়েছে। ওর সাথে গতকাল কথা হয়েছিল। সব কিছুই স্বাভাবিক ছিল। কি কারনে বিষ খেয়েছে আমি জানিনা।

পারিবার সূত্রে জানা যায়, গত ৮ মাস আগে চাঁদনির বিবাহ হয়। গত চারদিম আগে চাঁদনী নানাবাড়ি বাড়ি বেড়াতে আসেন । শুক্রবার সকালে নিজ কক্ষে তিনি বিষপান করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাকে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর দেড়টার দিকে মৃত্যু হয়।

জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: ইসরাত জেরিন জেসি বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাকে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর দেড়টার দিকে মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে জানতে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) খালেদুর রহমানের সরকারি নাম্বারে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

জনপ্রিয়

চুয়াডাঙ্গায় মেছো বিড়াল সংরক্ষণে সচেতনতামূলক আলোচনা সভা

চুয়াডাঙ্গায় নানার বাড়িতে বেড়াতে এসে গৃহবধূর বিষপান, রহস্য

প্রকাশের সময় : ০৭:২০:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৫

শুক্রবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে দামুড়হুদা উপজেলার দলকা লক্ষ্মীপুর গ্রামে নানার বাড়িতে বিষপান করেন চাঁদনী খাতুন।

চাঁদনী খাতুন চুয়াডাঙ্গা পৌরসভাধীন নিলারমোড় এলাকার ফয়সালের স্ত্রী। তবে কি কারণে বিষপান করেছে এ বিষয়ে পরিবারের সদস্যরা স্পষ্ট কোন উত্তর দিতে পারেননি। এতে রহস্যের দানা বেধেছে। পুলিশের তদন্তেই প্রকৃত ঘটনা উম্মোচন হবে বলে মনে করেন সচেতন মহল।

চাঁদনী খাতুনের মামা জিনারুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার সকালে আমি বাড়িতে ছিলাম। এসময় চাঁদনীর নানি আমাদেরকে ডাক দেয়, গিয়ে দেখতে পায় একটা ইদুর মারা বিষের খালি প্যাকেট ও পানির গ্লাস পড়ে আছে, আমার চাঁদনীকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নিহতের স্বামী ফয়সাল বলেন, চাঁদনীর নানা তিনদিন আগে আমার বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়েছে। ওর সাথে গতকাল কথা হয়েছিল। সব কিছুই স্বাভাবিক ছিল। কি কারনে বিষ খেয়েছে আমি জানিনা।

পারিবার সূত্রে জানা যায়, গত ৮ মাস আগে চাঁদনির বিবাহ হয়। গত চারদিম আগে চাঁদনী নানাবাড়ি বাড়ি বেড়াতে আসেন । শুক্রবার সকালে নিজ কক্ষে তিনি বিষপান করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাকে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর দেড়টার দিকে মৃত্যু হয়।

জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: ইসরাত জেরিন জেসি বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাকে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর দেড়টার দিকে মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে জানতে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) খালেদুর রহমানের সরকারি নাম্বারে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।